ওয়েব ডেস্ক: ৬৫ মিনিটে ৩০০ মিসাইল আছড়ে পড়ল ইজরায়েলে। ইরানের মিসাইল হামলায় তছনছ ইজরায়েল (Iran’s Missile Attack Israel)। ইরানের হামলায় আমেরিকার আয়রন ডোম চুরমার। যে ভাবে ইরান-ইজরায়েল একের অপরকে লক্ষ্য করে আঘাট পাল্টা প্রত্যাঘাত চলছে। ২৪ ঘণ্টা আগে ইরাজেলের পরমানু ঘাঁটিতে ইজরায়েলের হামলার পর ইরালের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন ছিলেন, এর কঠোর শাস্তি পেতে হবে ইজরায়েলকে। এরপরই পাল্টা প্রত্যাঘাত করে ইরান। ইজরায়েলের ৮ শহরে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানি হামলায় প্রায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে ইজরায়েলের এই ৮ শহর।
ইরানের সঙ্গে আমেরিকার পরমানু চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পরই ইরান-ইজরায়েলের সংঘাত (Iran-Israel Conflict) শুরু হয়েছে। তাতে যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তার আশঙ্কা ছিল। আমেরিকা ইজরায়েলকে সাহায্য করছিল তার মধ্যেই ইরানের হামলায় আমেরিকার আয়রন ডোমে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, ইজরায়েল যদি তেহরানে পারমাণবিক হামলা চালায়, তবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) দেশে পাল্টা পারমাণবিক হামলা চালাবে পাকিস্তান! ইরান-ইজরায়েল উত্তেজনার আবহে এ বার হুঁশিয়ারি দিয়ে এমনটাই জানালেন ইরান সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ জটিল হচ্ছে ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের পরিস্থিতি। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পদধ্বনী শোনা যাচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমশ যুদ্ধের চেহারা নিচ্ছে ইরান-ইজরায়েল সংঘাত (Iran-Israel Tension)। শনিবার রাত পৌনে ১১টা থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত, পরমাণু কেন্দ্র থেকে তৈল শোধনাগার- ইরানের ৮০টি জায়গায় এয়ারস্ট্রাইক করল ইজরায়েল। ইরানের সিনিয়র লিডাররা ব্যাগ গোছাতে শুরু করে দিয়েছেন, কটাক্ষ করে বললেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। পাল্টা আঘাত হানল ইরানও। তেল আভিভ-সহ একাধিক শহরে আছড়ে পড়ল তেহরানের মিসাইল। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হল একাধিক বহুতল। পরমাণু কেন্দ্র থেকে তেলের খনি। তেহরানের আশিটিরও বেশি জায়গায় এয়ারস্ট্রাইক। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪ জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যু, দাবি ইজরায়েলের। ইজরায়েলের হামলার জবাবে পাল্টা বসতি এলাকায় লাগাতার মিসাইল হানা চালিয়েছে ইরান। সোমবার সকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের ফোরদো পারমাণিক ঘাঁটিতে পরপর বিকট শব্দে বিস্ফোরণ শোনা গিয়েছে। ওই এলাকায় অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্পও। গত ৭২ ঘণ্টায় ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইজরায়েলি ড্রোন ও যুদ্ধবিমান একের পর এক হামলা চালিয়েছে ইরানের সামরিক ও পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে। এই হামলায় অন্তত ৪০৬ জন ইরানি নাগরিক ও সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৬৫৪ জন।
আরও পড়ুন: মার থামবে না স্পষ্ট জানাল ইরান, এবার কী করবে ইজরায়েল?
ইজরায়েলি বায়ুসেনা জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরান পর্যন্ত ‘এয়ার করিডর’ তৈরি করে ফেলেছে। এর মানে, ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান এখন বাধাহীনভাবে ইরানের আকাশে পৌঁছে হামলা চালাতে পারছে। তেহরান সহ একাধিক শহরের সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ কেন্দ্র ও ডিফেন্স ফ্যাক্টরি ধ্বংস করেছে ইজরায়েল। দক্ষিণ ইরানের এক রিফাইনারিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। তাবরিজ ও কারমানশাহতে দুটি বড় মিসাইল বেস একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে আইডিএফ। এছাড়াও ইস্ফাহান ও ফোর্ডোতেও পরমাণু স্থাপনাগুলিতে বোমাবর্ষণ হয়েছে। ইজরায়েল একের পর এক পরমাণু বিজ্ঞানীদের নিশানা করেছে। ইরানের পাল্টা হামলায় ইজরায়েলে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত বহু। তারা ১০০-২০০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন ইজরায়েলের দিকে ছুড়েছে। কিছু মিসাইল ইজরায়েলের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে ঢুকে পড়ে। তেল আভিভ, রামাত গান, বাট ইয়াম এবং রেহোভটে ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাইফা বন্দর, ইজরায়েলের সবচেয়ে বড় তেল রিফাইনারি এবং ১৫০টি সামরিক ও গোয়েন্দা ঘাঁটিতে ইরানের মিসাইল আঘাত হেনেছে। ইরানের হামলার পরে ইজরায়েলে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। রাজধানী জেরুজালেম, তেল আভিভ, হাইফায় বেজে উঠছে হুইসেল। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ বাঁচাতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন।
দেখুন ভিডিও