নয়াদিল্লি: নবনির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে অভিনন্দন জানালেন বিরোধী জোটের পরাজিত প্রার্থী, প্রবীণ কংগ্রেস নেত্রী মার্গারেট আলভা। টুইটে ধনখড়কে শুভেচ্ছা জানিয়েও নাম না করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিতে ছাড়েননি মার্গারেট আলভা।
তিনি লিখেছেন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিরোধীদের একসঙ্গে কাজ করার একটা সুযোগ এনে দিয়েছিল। সমস্ত অতীতকে পিছনে ফেলে দিয়ে একে অপরের প্রতি আস্থা তৈরি করারও একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হল, বিরোধী কিছু রাজনৈতিক দল প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে বিজেপিকে সমর্থন করে বসল। এটা ঐক্যবদ্ধ বিরোধী জোটকে লাইনচ্যুত করা ছাড়া কিছুই নয়। মার্গারেট লিখেছেন, আমার বিশ্বাস, এটা করে এই দলগুলি এবং তাদের নেতানেত্রীরা তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা হারালেন। ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে আমাদের সংবিধানকে রক্ষা করা এবং সংসদের মর্যাদা রক্ষার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
মার্গারেটের এই টুইটের লক্ষ্য যে মমতা, তা সহজেই বোঝা গিয়েছে। তাঁকে অন্ধকারে রেখে বিরোধীরা মার্গারেটের নাম চূড়ান্ত করেছে, এই যুক্তি দেখিয়ে তৃণমূল নেত্রী ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তৃণমূলের দাবি, বিরোধী নেতারা তাদের নেত্রীকে অপমান করেছেন। মার্গারেট বহুবার মমতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনি একবারও ফোন ধরেননি। শেষ পর্যন্ত মার্গারেট তৃণমূলকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছেন। লোকসভার তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবশেষে ফোন করে একই অনুরোধ করেন। কিন্তু তৃণমূল তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে।
শুক্রবার মার্গারেটের সম্মানে রাজ্যসভার কংগ্রেস দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে নৈশভোজ দেন বিরোধীদের। দিল্লিতে থাকলেও মমতা তাতে অংশ নেননি। শনিবার ভোটের দিনও তিনি দিল্লিতেই ছিলেন। থাকবেন রবিবার পর্যন্ত। চারদিনের দিল্লি সফরে দুদিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন। রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকেও তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দেখা এবং কথা হবে। স্মরণকালের মধ্যে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এত ঘন ঘন তৃণমূল নেত্রীর সাক্ষাৎ ঘটেছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করতে পারছে না। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পর মমতা মুখ খোলেননি। বিরোধীরা বলছেন, এটা সেটিংয়ের মিটিং।