কলকাতা: আসল নাম সূরয পাল সিং (Suraj Pal) Singh)। অগণিত ভক্তদের কাছে তিনি নারায়ণ সাকার হরি (Narayan Sakar Hari) কিংবা ‘ভোলেবাবা’। গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) উত্তরপ্রদেশে হাথরসে (Hathras) তাঁর ধর্মীয় সমাগম অনুষ্ঠানে (সৎসঙ্গ) হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১২১ জনের। সেই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ‘ভোলেবাবা’। কে এই সূরয পাল?
দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ, জাটাভ উপ-জাতি থেকে উঠে এসেছেন, যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) রাজ্যের পশ্চিম দিকে তাঁর বিরাট রমরমা। তাঁর ভক্ত-অনুগামীদের বেশিরভাগই দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। কোনওরকম সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার কিংবা বিজ্ঞাপন ছাড়াই তাঁদের আধ্যাত্মিক গুরু হয়ে উঠেছেন সূরয। সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে সামান্য ধর্মোপদেশ এবং আরতি হয়। তারপর তিনি জাদুবলে দুরারোগ্য ব্যাধি সারান, ভূত ছাড়ান। শেষ দুই দশক ধরে চলছে তাঁর এই কারবার।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাজেট ২৩ জুলাই
ভোলেবাবার রমরমা এতটাই যে, আধ্যাত্মিক জগৎ থেকে তাঁর অনায়াস যাতায়াত এবং প্রভাব রয়েছে রাজনৈতিক জগতেও। তাঁর অনুগামী নামী নেতারাও। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, বিজেপির বহু নেতাকে ভোলেবাবার অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে।
প্রকাশ্যে রাজনীতি করেন না, রাজনীতিতে তাঁর প্রচ্ছন্ন হাত রয়েছেই এবং তার প্রভাব যথেষ্ট। প্রার্থী চয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত তাঁর অঙ্গুলি হেলনে হয়েছে। পুরানপুরের দুইবারের বিজেপি বিধায়ক বাবু রাম পাসোয়ানের রাজনৈতিক কেরিয়ার ভোলেবাবার কৃপাতেই উপরে উঠেছে। দু’ দশক আগে ভোলেবাবার ধর্মীয় সমাগম আয়োজন করতেন এই বিজেপি নেতাই।
ফিরোজাবাদ, কানপুর, এটাওয়া, আগ্রা সহ যোগীর রাজ্যের অন্তত ১৪টি জেলায় নারায়ণ সাকার হরি প্রবল প্রভাবশালী। সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকেন না তিনি, তাতে তাঁর ভক্তের সংখ্যা কমে না, বরং উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।
দেখুন অন্য খবর: