নয়াদিল্লি: কৃষক ভোট বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ৷ বিপুল কৃষক আন্দোলনের ধাক্কায় আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ বাজেট পেশের সয়ম কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ কৃষকদের জন্য ঘোষণাও করেছিলেন৷ পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন৷ আর এবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় সরকারের সেই কৃষক বন্ধু চরিত্রের কথায়৷ দাবি করলেন, ‘‘ ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষকদের শক্তিশালী করা এই সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্য৷’’
কৃষি নির্ভর অর্থনীতির দেশ ভারত৷ কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো এবং কৃষিকে আরও দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করা বারবারই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তব্য হয়ে দেখা দিয়েছে৷ কিন্তু নরেন্দ্র মোদির নেতৃ্ত্বাধীন বিজেপির সরকার ক্ষমতায় আসার পর ক্রমেই যেন পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে৷ সরকারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় কৃষকরা৷ কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন পঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষকরা৷ দেশজুড়ে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে৷ প্রতিবাদের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, শেষ পর্যন্ত কৃষি আইন বাতিল করে কেন্দ্র৷ আর এবার ক্রমেই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, কৃষি আমাদের ভিত্তি৷
লোকসভায় দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদি বললেন, ‘‘এই সরকার কৃষক বন্ধু৷ কৃশকদের পাশে দাঁড়ানো এই সরকারের অবশ্য কর্তব্য৷’’ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এই সরকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের স্বনির্ভর করতে বদ্ধ পরিকর৷ কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে চায় এই সরকার৷ জৈব চাষের উৎসাহ দিচ্ছে বর্তমান সরকার৷ কৃষিকে আধুনিক মানের করে কৃষকদের দুরাবস্থা মোচনের একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, কংগ্রেস আমলে কৃষি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিল৷ গরিব মানুষ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল৷ বর্তমান সরকার সেই জায়গা থেকে উদ্ধার করেছে৷ শিল্প বাণিজ্যের পাশাপাশি কৃষি ব্যবস্থাকে স্বনির্ভর করার পথে অনেকটাই এগিয়েছি আমরা৷
আরও পড়ুন-বিজেপিকে হারাতে যোগীরাজ্যে অখিলেশের হয়ে প্রচারে গেলেন মমতা
সামনে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন৷ নির্বাচন রয়েছে পঞ্জাবেও৷ যেখানে কৃষি অর্থনীতি এবং কৃষক ভোট ব্যাঙ্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কৃষক ভোট ব্যাঙ্ক মজবুত করতে এবার সংসদে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী, মত রাজনৈতিক মহলের৷