চন্ডিগড়: ধারাবাহিক বিতর্কের জেরে দায়িত্ব ছাড়লেন পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা নভজ্যেত সিং সিধুর মুখ্য উপদেষ্টা মালভিন্দর সিং মালি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ পঞ্জাব কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা নভজ্যেত সিং সিধুর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তারজন্য গতকাল বৃহস্পতিবারই দলের তোপের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। মালভিন্দরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কাশ্মীর এবং আফগানিস্তানে তালিবান উত্থান নিয়ে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেন, কাশ্মীর শুধু পাকিস্তানই নয়, ভারতও অবৈধ ভাবে দখল করে রয়েছে। অন্য একটি পোস্টে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তালিবানের উচিত আফগানিস্তানে শিখ ও হিন্দুদের রক্ষা করা। সে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে তালিবানের সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বলেন তিনি। এই ধরনের পোস্টে স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। বিশেষ করে তাঁর কাশ্মীর বিষয়ক মন্তব্যকে ভাল চোখে নেয়নি কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: কেজরিওয়াল সরকারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর গরিবের ‘মসিহা’ সোনু সুদ
সিধুর উপদেষ্টার এই বিতর্কিত মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আসরে নামেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। সম্প্রতি একটি জনসভায় কাশ্মীর বিষয়ক মন্তব্যে মালভিন্দর সিংকে তীব্র আক্রমণ করেন অমরিন্দর সিং। যদিও তারপরে ও পিছুপা হতে রাজি হননি মালভিন্দর সিং। এককদম এগিয়ে তিনি বলেন, তাঁর ওপর কোনও শারীরিক হামলা হলে তার জন্য দায়ী থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তেওয়ারি এবং শিরোমনি অকালি দলনেতা সুখবীর সিং বাদল। এই ঘটনায় বিতর্ক আরও জোরদার হয়। মালভিন্দরকে নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় কংগ্রেস হাইকমান্ডকেও।
আরও পড়ুন: বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তে বিপুল ঘাটতির মুখে বিভিন্ন সংস্থা
এমন পরিস্থিতি বিগত কয়েকদিন থেকেই প্রশ্ন উঠছিল সিধু কি তাঁকে নিজের উপদেষ্টা পদেই বহাল রাখিবেন নাকি তাঁকে অপসারণ করবেন। সেই জল্পনাকে আরও উষ্কে দিয়ে মালভিন্দর সম্প্রতি জানিয়েছিলেন সিধু তাঁকে অপসারণ করতে পারবেন না। তারপরেই কংগ্রেসের তোপের মুখে পড়েন তিনি।