কলকাতা: লোকসভায় বাংলার মুসলিম অধ্যুষিত দুই মালদহ এবং মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার দাবি জানালেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। একইসঙ্গে বিহারের কাটিহার, আরারিয়া এবং কিষাণগঞ্জকেও তার মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন নিশিকান্ত। এই পাঁচটি জেলাই মুসলমান প্রভাবিত এলাকা। জনবিন্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখার যুক্তি দেখিয়েই বিজেপি সাংসদের এই প্রস্তাব। তাঁর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে জেডিইউ। তবে বিজেপি সাংসদের বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে কি দুবের এই মন্তব্যে চাপে এনডিএ, এমনই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
এ নিয়ে তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, বিজেপি বাংলায় কিছু করতে পারছে না। হারাতে পারছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই এসব করছে। জঘন্য কথা সব। নিশিকান্ত দুবে যা বলছেন, এর চেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক কথা আমি শুনিনি। এমন চললে তো আর একটা দেশে পাকিস্তান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: মালদহ, মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করার দাবি বিজেপি সাংসদের
সিপিএম-এর রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “নির্বাচনের আগে থেকেই মোদি একটি কুপ্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন, হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটা প্রবণতা ছিল তাঁর। নির্বাচনে ধাক্কা খেয়ে খানিকটা পিছু হটলেও, একেবারেই হতদ্যোম হননি। তাই দলের লোকেদের দিয়ে এসব বিচ্ছিন্নতাবাদী দাবি তুলছেন।
বৃহস্পতিবার লোকসভায় জিরো আওয়ারে নিশিকান্ত অভিযোগ করেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কারণে ওই জেলাগুলির জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে। তাঁর দাবি, ওই পাঁচ জেলাকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার এনআরসি কার্যকর করুক। তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে। বিহার এবং ঝাড়খণ্ড যখন আলাদা হয়, তখন সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসী জনসংখ্যা ছিল ৩৬ শতাংশ। এখন তা কমে ২৬ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। ঝাড়খণ্ড সরকারের ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির কারণেই মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে।