কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ওমিক্রনের (Omicron Virus) সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে, দেশের এমন দশ রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল পাঠাচ্ছে। ওই রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে(Omicron Covod-19 Virus)। এছাড়া দশ রাজ্যের তালিকায় আছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, মিজোরাম, কর্ণাটক, বিহার, উত্তরপ্রদেশ,ঝাড়খণ্ড এবং পঞ্জাব। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক শনিবার এক লিখিত বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে (Omicron Virus Threat)।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সুত্রের খবর, ওই বিশেষজ্ঞ দল মূলত মহারাষ্ট্রেই ক্যাম্প করে থাকবে। কারণ ওই রাজ্যেই এই মুহূর্তে ওমিক্রন আক্র্যান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই মুহূর্তে দেশের বাণিজ্যনগরীতে ১০৮ জন ওমিক্রন আক্রান্ত। বাকি রাজ্যগুলিতে বিশেষজ্ঞ দল তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত থাকবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন। স্বাস্থ্য দফতরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেবেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ওমিক্রন আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তার
শনিবার পর্যন্ত দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৫। তার মধ্যে মহারাষ্ট্রে ১০৮ জন আক্রান্ত। তারপরেই রয়েছে দিল্লি, আক্রান্ত ৭০। গুজরাতে আক্রান্ত ৪৩, তেলঙ্গানায় ৩৮, কেরলে ৩৭, তামিনাড়ুতে ৩৪, কর্ণাটকে ৩১ এবং রাজস্থানে আক্রান্ত ২২। পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ৫ জন। এ ছাড়া হরিয়ানা, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশে ৪ জন করে আক্রান্ত। চণ্ডীগড়, লাদাখ, উত্তরাখণ্ডে ১ জন করে আক্রান্ত। সব মিলিয়ে ১৭ টি রাজ্যে ওমিক্রন ছড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, যে সব রাজ্যে করোনার টিকা দেওয়া তুলনামুলকভাবে কম হয়েছে, সেগুলির দিকেও বিশেষ নজরদারি চালাবে কেন্দ্রীয় দল। এই রাজ্য গুলিতে আরও দ্রুত টিকাকরণে জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে ৪১৫, শীর্ষে মহারাষ্ট্র
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্য বড়দিন, বর্ষবরণ, নববর্ষের উৎসবে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দিল্লি, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মতো কিছু রাজ্য উৎসবের মরসুমে নাইট কার্ফু বলবৎ করেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে এই কদিন নাইট কার্ফু শিথিল করা হয়েছে। রাজ্যে ভিড় বা জমায়েতে কোনও বিধিনিষেধ নেই। বড়দিনের আগে থেকে কলকাতা সহ সর্বত্র মানুষ উৎসবের মেজাজে রাস্তায় নেমে পড়েছে। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্কের দেখা নেই। শনিবার বড়দিনেও সকাল থেকেই চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, জাদুঘর, ময়দান, নিকো পার্ক, ইকো পার্কে লাগামছাড়া ভিড়। এই ভিড় দেখেই উদ্বিগ্ন শহরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।