জয়পুর: বাল্যবিবাহ এবার থেকে নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক। সম্প্রতি বিধানসভায় এমনই বিল এনেছে রাজস্থানের সরকার। পাসও হয়ে গিয়েছে সেই বিল। এর প্রতিবাদে কালা দিবস পালন রাজ্য বিজেপির। বিধানসভা চলাকালীন শনিবার ওয়াক আউট করেন বিজেপির বিধায়কেরা।
বিবাহ নথিভুক্তকরণ সংশোধনী বিল আনা হয়। এই বিলের একটা ধারায় বলা আছে, নাবালিকার বিয়ের ৩০ দিনের মধ্যেই নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। এই ধারাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তোপের মুখে পড়েছে রাজস্থানের কংগ্রেস শাসিত সরকার। তবে কি ঘুরিয়ে বাল্যবিবাহকে মদত দিচ্ছে অশোক গেহলতের সরকার, উঠছে প্রশ্ন। মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়ালের সাফাই, বিলে বলা হয়েছে শিশুদের বিয়ে হলে তা রেজিস্টার করা বাধ্যতামূলক। এর মানে কিন্তু বাল্যবিবাহকে সমর্থন করা হচ্ছে না।
সরকার যুক্তি দেখিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের জন্যই এই ধারাকে সংশোধন করতে হয়েছে। নয়া এই আইন অনুযায়ী, এই নথিভুক্তকরণ ব্লক স্তর পর্যন্ত হবে। এর জন্য থাকবেন একজন ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন অফিসার। বিয়ের সময় কন্যার বয়স ১৮ বছর কিংবা পুত্রের বয়স ২১ বছরের কম হলে তাঁদের অভিভাবকদের বিয়ের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। বিস্তারিতভাবে সব কিছু লিখে একটি স্মারকলিপি জমা দিতে হবে ম্যারেজ রেজিস্টারের কাছে। এর ভিত্তিতেই রেজিস্ট্রেশন অফিসার ওই বিয়ে তালিকাভুক্ত করবেন। আগে এই রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি জেলাভিত্তিক ছিল। বিলের সংশোধনীতে তা ব্লক স্তরে নামিয়ে আনা হল।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ু, কেরালার পর কর্ণাটক, অনলাইনে বেটিং রুখতে কঠোর হচ্ছে রাজ্যগুলি
এর বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির বিধায়করা। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, যেখানে বাল্যবিবাহ বেআইনি সেখানে এই আইনে কী করে এই ধারা আনে কংগ্রেস সরকার। ধারিওয়াল জানান, ২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট সীমা বনাম অশ্বিনীকুমার মামলায় রায় দেয়, যে কোনও ধরনের বিয়ের ক্ষেত্রেই নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক। তাই এই ধারা এনেছে কংগ্রেস। এর পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, বিয়ে নথিভুক্ত করার পর বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে দোষীদের শাস্তি হবে।
কংগ্রেসের এই যুক্তি অবশ্য ধোপে টিকছে না। যেখানে সারা দেশজুড়ে বাল্যবিবাহ বিরোধে প্রচার চলছে লাগাতার, কড়া হয়েছে সব রাজ্য। সেখানে এই ধরনের বিল কি ভোট ব্যাংকের কথা মাথায় রেখেই এনেছে অশোক গেহলতের সরকার? উঠেছে সেই প্রশ্নও।
আরও পড়ুন: সিধুকে ‘পঞ্জাব রাজনীতির রাখি সাওয়ান্ত’ বলে কটাক্ষ, আপ নেতার মন্তব্যের বিরোধিতা