পুনে: যদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারে তাহলে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী কেন পারবেন না? লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রশ্ন তুলে জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন শিবসেনা মুখপাত্র তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। পড়শি রাজ্য গুজরাতের মতো মহারাষ্ট্র থেকেও প্রধানমন্ত্রী করার দাবি তুললেন এই গেরুয়া সাংসদ।
বিজেপির সঙ্গে সিবসেনার পুরনো বন্ধুত্ব রয়েছে। ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে জোট করে লড়াই করেছিল শিবসেনা-বিজেপি। কিন্তু ভোটের পরে কোন্দল শুরু হয় মুখ্যমন্ত্রীর আসন নিয়ে। সেই সুযোগে অবিজেপি দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে শিবসেনা। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দলের প্রধান উদ্ভব ঠাকরে।
আরও পড়ুন- দাবি মতো চাঁদা না দেওয়ায় কচুরি বিক্রেতাকে ফুটন্ত তেলে ফেলার অভিযোগ
মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সরকার ভেঙে যাওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল অনেক আগে। যদিও সেই আশঙ্কা উড়িয়ে সেনা সাংসদ সঞ্জয় রায়ত বলেছেন, “আরও তিন বছর সফলভাবে মহারাষ্ট্রে সরকার চালাবে শিবসেনা। আগামী নির্বাচনেও জিতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হবেন উদ্ভব ঠাকরে।” এরপরেই তিনি বলেন, “যদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারে তাহলে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পারবে না কেন?”

২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই একই পথে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরেকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি তুলেছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। যিনি ওই দলের মুখপাত্র।
আরও পড়ুন- মইনুলের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং পুলিশের সুপারকে গ্রেফতারের দাবি বামেদের
কেন্দ্রের বর্তমান শাসক মোদি সরকারকে ফেলতে মরিয়া সকল বিরোধী দল। সেই লক্ষ্যে মহাজোট গঠনেত পরিকল্পনা হয়েছে, ইতিমধ্যেই জোটের নেতাদের বৈঠক করতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু সেই জোটের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন সময়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিজেপি জোটের নেত্রী এবং আগামী প্রধানমন্ত্রী করার পক্ষে আওয়াজ তুলেছে তৃণমূল। শিবসেনা সাংসদের মন্তব্য মহাজোটে তৃণমূলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।