নয়াদিল্লি: প্রেমিককে ছাড়া বাঁচব না, এমন আর্তির জবাবে প্রেমিকাকে মরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া নয়, এমনটাই অভিমত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। শিয়ালদহ দক্ষিণ (Sealdah South) শাখায় নরেন্দ্রপুর ও গড়িয়া স্টেশনের মাঝে ২০০৮ সালে রেললাইনে আত্মহত্যা করেছিলেন এক তরুণী। সেই ঘটনায় প্রেমিকের মায়ের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ খারিজ করলেন বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন (Justice BV Nagaratna) ও বিচারপতি এস সি শর্মা (Justice SC Sharma)। এর আগে প্রেমিকের মা ও পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর খারিজের আবেদন বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।
সর্বোচ্চ আদালতের অভিমত, “ছেলেকে ছাড়া যদি বাঁচতে নাই পারো, তাহলে মরে যাও।” ছেলে তথা প্রেমিকের মায়ের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় ফৌজদারি আইনের ৩০৬ ধারার প্রয়োগ হতে পারে না। এই ধারাটির সঙ্গে ওই আইনের ১০৭ ধারাকেও দেখতে হবে। তাহলে স্পষ্ট হবে যে, আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার বিষয়টি হতে হবে সরাসরি অথবা পরোক্ষ। যা হবে আত্মহত্যা স্থলের নিকটবর্তী এবং স্পষ্ট প্রমাণ থাকতে হবে। যার কোনওটিই এক্ষেত্রে উপস্থিত নেই।
আরও পড়ুন: গার্ডরেল নেই, কর্নাটকে ফল বোঝাই ট্রাক উল্টে খাদে পড়ে মৃত ১১
লক্ষ্মী দাস বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও অন্যান্যদের মামলায় শীর্ষ আদালত আরও বলে, প্রেমিক বাবু দাসের সঙ্গে প্রেমিকার সম্পর্ক শেষ করে দেওয়ার কোনও প্রয়াস অভিযুক্ত পরিবারের ছিল না। বরং প্রেমিকার পরিবারের এই সম্পর্ক পছন্দ ছিল না। এই বিয়েতে বাবুর মা যদি আপত্তি জানিয়েও থাকেন, তাকে কোনওমতেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া বলা যায় না। আর ছেলেকে ছাড়া বাঁচতে না পারলে মরে যাও বলাটা আদৌ প্ররোচনা নয়। আত্মহত্যাকারীকে সরাসরি আত্মহত্যার পথে ঠেলে দেওয়ার প্রত্যক্ষ প্রমাণ প্রয়োজন।
দেখুন অন্য খবর: