নয়াদিল্লি: বধূ নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে দেশের সমস্ত আদালতকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই সঙ্গে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার ধারা ৮৫ ও ৮৬-তে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনার জন্য আইনসভাকে অনুরোধও জানাল শীর্ষ আদালত।
বধূ নির্যাতনের মামলায় বিনা কারণে আত্মীয়-স্বজনকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বারবার আদালতকে উদ্বিগ্ন করছে। অর্নেশ কুমার বনাম বিহার সরকারের মামলার সুপ্রিম কোর্ট দৃষ্টান্তমূলক নির্দেশ দেওয়ার পরেও সেই প্রবণতা কমেনি। পরবর্তীকালে অচীন গুপ্তা বনাম হরিয়ানা সরকারের মামলাতেও এই ধারাটির অপপ্রয়োগ সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যে কারণে সাম্প্রতিক মামলায় বিচারপতি সিপি রবি কুমার ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, এমন প্রতিটি মামলায় আদালতকে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। কাউকে জোর করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না, খেয়াল রাখতে হবে। যাতে সেই মামলার পরিণতিতে কেউ অন্যায্য শাস্তির মুখে না পড়েন।
আরও পড়ুন: যৌনতা মানেই অশ্লীলতা নয়, পেন্টিং-মামলায় মত বম্বে হাইকোর্টের
ক্ষতিগ্রস্ত মহিলার জামাইবাবু সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারী। স্বামী ও ননদের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা আইন ও পণের জন্য অত্যাচারের অভিযোগ আনেন সেই মহিলা। সেই অভিযোগ সূত্রে জামাই গ্রেফতার হন। পরবর্তীকালে হাইকোর্টের নির্দেশে জেলে থাকার সময়কালকে শাস্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে।
পণের জন্য দাবি ও অত্যাচারের অভিযোগ ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসের। অথচ ওই মহিলার ননদের (পরবর্তীকালে সাজাপ্রাপ্ত) সঙ্গে বিয়ে হয় ২০১০ সালের অক্টোবরে। অর্থাৎ অভিযোগের প্রায় ১০ মাস পরে ওই পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক স্থাপিত হয়। দ্বিতীয়ত তিনি অত্যাচারে যুক্ত ছিলেন, এমন কোনও প্রমাণ নেই। সুপ্রিম কোর্টকে জানান সেই জামাই তথা আবেদনকারী। এই সওয়াল সূত্রে আবেদন মঞ্জুর এবং শাস্তি নাকচ করে শীর্ষ আদালত।
দেখুন অন্য খবর: