হায়দরাবাদ: খারাপ কাজ করলে ছেলেকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার একশো বার আছে মায়ের৷ তাই বলে চোখ-মুখে লঙ্কার গুঁড়ো লেপে দিতে হবে? তেলেঙ্গানার এমনই এক ঘটনায় উত্তাল নেট পাড়া৷ ছেলের গাঁজার নেশা ছাড়াতে তিতিবিরক্ত মা সন্তানের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ঢেলে দেয়৷ সেই ছবি ভাইরাল হতেই আঁতকে ওঠেন নেট পাড়ার বাসিন্দারা৷ এমন শাস্তি দিয়ে তিনি ঠিক করেছেন নাকি ভুল, তা নিয়ে চলছে বিতর্ক৷
ঘটনাটি তেলেঙ্গানার সুরয়াপেত জেলার৷ বিপথগামী ছেলেকে শায়েস্তা করতে চেয়েছিলেন মা রামানা৷ তাঁর কথায়, ‘ছেলের মাত্র ১৫ বছর বয়স৷ এত অল্প বয়সেই উচ্ছন্নে চলে গিয়েছে৷ করোনার পর থেকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়৷ খারাপ সঙ্গীদের পাল্লায় পড়ে গাঁজা খাওয়া শুরু করে৷ নেশা বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যে গাঁজা ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারে না৷ এ দিক ও দিক রাস্তায় পড়ে থাকে৷ মাঝে ১০ দিন নিখোঁজ ছিল৷ বহুবার সতর্ক করা হয়েছে৷ কিন্তু শোনেনি৷’
তাই নেশা তাড়াতে একদিন বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ছেলেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে দেন মা৷ ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিপদের আঁচ পেয়ে ছেলেটি চিৎকার করছে৷ মাকে আটকানোর চেষ্টা করছে৷ কিন্তু মা নাছোড়৷ পাশ থেকে একটি মেয়ে এসে ছেলেটির হাত চেপে ধরে৷ তারপরই ছেলের চোখে-মুখে লঙ্কার গুঁড়ো ডোলে দেন৷ ফুটন্ত তেলে জলের ছিঁটের মতো যন্ত্রণায় তিড়িং তিড়িং করে লাফিয়ে ওঠে ছেলেটি৷
https://twitter.com/IndiaGender/status/1510957088629211140?t=M7NDn_mBgWNr5FHF2a45DA&s=08
ভিডিয়ো দেখে সকলেই এক বাক্যে জানান, নেশা ছাড়ানোর এটা কোনও পন্থা হতে পারে না৷ ছেলেটির কাউন্সেলিং দরকার৷ সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নেশা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব৷ যদিও মহিলার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে কেউ কেউ জানান, তাঁরা বুঝতে পারছেন কোন যন্ত্রণা থেকে মা হয়েও এমন কাজ করেছেন তিনি৷ তবে অনেকেই কড়া ভাষায় মহিলার কাজের নিন্দা করেন৷ জানিয়েছেন, এটাকে শারীরিক নির্যাতন বলে৷ চোখে লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিলেই পরেরদিন থেকে সে নেশা করা ছেড়ে দেবে এমনটা নয়৷ দু’জনেরই কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন৷ ভিডিয়ো দেখে পুলিস মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে৷