লখনউ: হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। একের পর এক দেহ মর্গে আসছে। চারাদিকে শুধু স্বজনহারাদের কান্না শব্দ। ঘটনার পর মেডিক্যাল কলেজের মর্গে মোতায়েন করা হয়েছিল দুই পুলিশকর্মীকে। তাঁদের মধ্যে একজন কনস্টেবল রবি কুমার। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই লাশের সংখ্যা বাড়তে থাকে। চোখের সামনে এত মৃত্যু, রক্ত, আর্তনাদ দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি রবি। আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই পুলিশকর্মী।
তাঁর সহকর্মী জানান, হাসপাতালে লাশের সংখ্যা বাড়তে থাকায় তা দেখে খুব বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন রবি। আচমকাই রবি অসুস্থবোধ করতে থাকেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু ঠিক ২০ মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হয় রবির। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই পুলিশকর্মীর।
রবির সহকর্মী জানিয়েছেন, রক্ত, মৃতদেহ, ময়নাতদন্ত— এ সব পরিস্থিতির সঙ্গে পুলিশকর্মীরা খুবই পরিচিতি। নিত্যদিন তাঁদের এ সব নিয়েই ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়। ১০ বছরের কর্মজীবনে রবি নিজেও বহু বার বহু মৃত্যু দেখেছেন, রক্তপাত দেখেছেন। কিন্তু নিজের কর্তব্য থেকে বিরত থাকেননি। কিন্তু হাথরসের এই দৃশ্য দেখে হয়তো নিজেকে সামলাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা ফাইলের নির্দেশ রাজ্যপালকে
এদিকে বুধবার হাথরসে পদপিষ্টের ঘটনায় আহতদের দেখেতে হাসপাতালে গিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন যোগী। তাঁদের সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভিড়ের চাপে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২১ জনের। আহত হয়েছেন বহু। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ইতিমধ্যে আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে মামলা শুরু করেছে পুলিশ।
গেখুন আরও অন্যান্য খবর: