নয়াদিল্লি: চপার দুর্ঘটনায় জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মৃত্যু দেশের নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi Govt) সরকারকে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ৷ জেনারেল রাওয়াত (Bipin Rawat Chopper Crash) ছিলেন দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস)৷ তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখতে মোদি সরকার এই পদ তৈরি করেছিল৷ ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল রাওয়াতের৷ তাঁর অকাল মৃত্যু জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মোদি সরকারকে বিরাট ধাক্কা দিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের৷ সেই ধাক্কা সামলে পরবর্তী সিডিএস হিসেবে তিন বাহিনীর মধ্যে গ্রহণযোগ্য কাউকে বেছে নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে৷ সূত্রের খবর, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী সিডিএসের নাম চূড়ান্ত করে ফেলতে পারে কেন্দ্র৷
সেনাপ্রধান হিসেবে অবসর নেওয়ার ঠিক আগের দিনই ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিপিন রাওয়াত৷ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সিডিএস হওয়ার ক্ষেত্রে তেমন নির্দিষ্ট কোনও মাপকাঠি নেই৷ সীমান্ত সুরক্ষার ব্যাপারে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ কড়া হাতে মোকাবিলা করাই প্রধান বিবেচ্য ৷ কিন্তু প্রাথমিক যোগ্যতা একটা দরকার ৷ কী সেই যোগ্যতা? পদাতিক, বায়ুসেনা এবং নৌবাহিনীর যে কোনও কম্যান্ডিং অফিসার এই পদের জন্য বিবেচ্য হতে পারেন৷ সেনাকর্তাদের মধ্যে সবথেকে প্রবীণ অফিসারদের কাউকে সরকার এই পদের জন্য বিবেচনা করতে পারে৷ তবে ৬২ বছর পর্যন্ত অথবা তিন বছর এই পদে থাকতে পারেন একজন সিডিএস৷
এই মুহূর্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরভানে সবথেকে প্রবীণ অফিসার৷ তাঁর নামই পরবর্তী সিডিএস হিসেবে উঠে আসছে৷ বিপিন রাওয়াত প্রতিরক্ষা প্রধান হওয়ার পরই নরভানেকে সেনাপ্রধান করা হয়৷ ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ওই পদে তাঁর থাকার কথা৷ নরভানের তুলনায় বাকি দুই বাহিনীর প্রধান অনেক পরে দায়িত্ব পেয়েছেন৷ বায়ুসেনা প্রধান বি আর চৌধুরি চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ওই পদের দায়িত্ব নেন৷ অপরদিকে নৌবাহিনীর প্রধান আর হরি কুমার মাত্র ৮ দিন আগে এই পদে এসেছেন৷ ফলে সিনিয়রিটির বিচারে সিডিএস হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে নরভানে৷
আরও পড়ুন: Bipin Rawat: বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুতে রাজ্যসভায় বিরোধী সাংসদদের শোকজ্ঞাপনে ‘না’ সরকারের
এ ছাড়া প্রতিরক্ষা মহল আরও একটি কারণে নরভানেকে পরবর্তী সিডিএস হিসেবে এগিয়ে রাখছেন৷ এই মুহূর্তে দেশের দুই সীমান্তে ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা চলছে৷ বিশেষ করে চীনা আগ্রাসন নিয়ে উদ্বেগে দিল্লির নর্থ ব্লক৷ লাল ফৌজের আগ্রাসন রুখতে ভারতীয় সেনাবাহিনী বিরাট ভূমিকা নিতে চলেছে আগামিদিনে৷ পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক এখন ভালো নয়৷