কৃষ্ণনগর এলাকার নেদেরপাড়ায় রয়েছে দেবী তারার এই দুই জাগ্রত মূর্তি। এখানে দেবীকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখ হয়। তার পাশেই রয়েছে দেবীর আরও এক মূর্তি। ওই দুই মূর্তিরই পুজো করা হয়। দেবী এখানে পরিচিত উগ্রতারা রূপে। এই দুটি মূর্তি যেই বাড়িতে রয়েছে সেটি একজনের বাড়ি। সেই ব্যক্তির নাম পার্থপ্রতিম রায়। তিনি অবশ্য বাড়ির মালিক নন, ভাড়াটে। সামান্য কাজকর্ম করেই ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী, মাকে নিয়ে সংসার চালান।
জানা যায়, আছে ১৪ বছর আগে টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে তিনি দেবী তারার মূর্তি বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। নিজেই শুরু করেছিলেন দেবীর পুজো। এর আগে ছোট বয়সে স্কুলের খাতায় তিনি হামেশাই দেবী তারার ছবি এঁকে ফেলতেন। তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন যে, দেবী তারা বাড়িতে আসতে চান। তারাপীঠে দ্বারকা নদীর ধারে দেবীর মূর্তি রয়েছে। তাঁকে নিয়ে আসতে হবে। সেই মতোই মূর্তি এনে স্থমিত করেন তিনি। মূর্তিটি এক কুমোরকে দিয়ে রং করিয়ে বাড়িতেই প্রতিষ্ঠা করেছেন ওই যুবক।
আরও পড়ুন: Kolkata Metro | কালীঘাট মেট্রোয় ঝাঁপ! অফিস টাইমে বন্ধ পরিষেবা, চূড়ান্ত ভোগান্তি যাত্রীদের
এখনই শেষ হয় মূর্তি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই তাঁর বাড়িতে শুরু হয়েছিল নানা অশান্তি। তখন প্রীতম দেবীর কাছে মঙ্গল প্রার্থনা করেছিলেন। তারপরই মিলেছিল স্বপ্নাদেশ। সেই স্বপ্নাদেশে বলা হয়েছিল যে দেবীমূর্তিকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখলে আর সমস্যা হবে না। সেই অনুযায়ী, এখানে দেবীকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। তখন থেকে আজ অবধি ওই মূর্তি শিকল বাঁধাই রয়েছে। দেবী এখানে নিত্য পূজিতা। কালীপুজোতেও সমস্ত নিয়ম মেনেই হয় দেবীর পুজো।
শেয়ার করুন