নয়াদিল্লি: ওঁরা অতন্দ্রপ্রহরী। দেশের ঘরোয়া সুরক্ষায় সর্বক্ষণ মোতায়েন। পরিবার ছেড়ে থাকতে হয় দূরে। কিন্তু, ওঁরাও তো মানুষ! টানা ডিউটি, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ায় মানসিক অস্থিরতা থেকে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীতে (সিএপিএফ)জওয়ানদের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। অনেকে তাঁদের পরিষেবা শেষ করার আগে চাপ কমাতে পদত্যাগ বা স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণও করছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের টাস্কফোর্সের রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক(MHA) রাজ্যসভায় (Rajyasabha) জানাল, ৭৩০ জন জওয়ান আত্মহত্যা করেছেন। ৫৫ হাজারের বেশি পদত্যাগ করেছেন বা স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেছেন। সেজন্য জওয়ানরা যাতে পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৪২ হাজার ৭৯৭ জন জওয়ান ১০০ দিনের ছুটির সুযোগ নিয়েছেন। একটি জাতীয়স্তরের সংবাদমাধ্যম সূত্রে বুধবার ( ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪) এই তথ্য জানা গিয়েছে।
তবে খতিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রধানত জওয়ানদের মধ্যে আত্মহত্যার কারণ মূলত ব্যক্তিগত। টাস্কফোর্স সিএপিএফ কর্মীদের মধ্যে আত্মহত্যার বৃদ্ধির কারণগুলি খতিয়ে দেখেছে। আত্মহত্যা করা জওয়ানদের মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি তাদের ছুটি পরে ঘটেছে। তথ্য অনুযায়ী, প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যের মৃত্যু, দাম্পত্য কলহ বা বিবাহবিচ্ছেদ, আর্থিক অসুবিধা এবং শিশুদের জন্য অপর্যাপ্ত শিক্ষার সুযোগ। এমএইচএ অবশ্য এটাও জানিয়েছে, এখন আরও বেশি সংখ্যক কর্মী তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে। রাজ্যসভায় জানানো তথ্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, এই বছর অক্টোবর পর্যন্ত ৬৩০২ জন কর্মী তাঁদের পরিবারের সঙ্গে ১০০ দিন কাটিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক টাস্কফোর্সকে সিএপিএফ এবং অসম রাইফেলে আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলেছে। অভিযোগগুলি দেখতে এবং প্রতিকার করতে জওয়ানদের সঙ্গে অফিসারদের নিয়মিত মত বিনিময় করতে বলা হয়েছে। ডিউটি ঘন্টা নিয়ন্ত্রণ করে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে বলা হয়েছে। আধাসেনাদের জীবনযাত্রার অবস্থার উন্নতি করা এবং পর্যাপ্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে পুরুষদের তুলনায় মহিলা কর্মীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রচেষ্টা কম বলে তথ্যে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল উৎক্ষেপণ, বুধের বদলে বৃহস্পতিতে মহাকাশে পাড়ি দেবে ‘প্রোবা-৩’
দেখুন অন্য খবর: