ভোপাল: ওড়িশা (Odisha)-মধ্যপ্রদেশে (Madhyapradesh) সারা রাত ধরে চলা গুলির লড়াইতে নিহত ১২ মাওবাদী (Maoists)। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।
সেই সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত গুলির লড়াই চলে।
১৯ জানুয়ারি (19 january) থেকেই নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযান (Joint operation by security forces)শুরু হয়েছে। ওড়িশার ডিজিপি যোগেশ বাহাদুর খুরানিয়া (Odisha DGP Yogesh Bahadur Khurania) জানিয়েছেন, গোয়েন্দা বিভাগ (Intelligence Department) সূত্রে খবর পেয়ে ওড়িশা পুলিশ, ছত্তিশগড় পুলিশ ও সিআরপিএফ নোয়াপাড়া জেলার সীমান্ত থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে ছত্তিশগড়ের কুলারিঘাট সংরক্ষিত বনাঞ্চলে যায়।
আরও পড়ুন: অ্যান্টি র্যাবিশ ভ্যাকসিন মান মামলায় মন্ত্রকে আবেদনে সুপ্রিম সম্মতি
মাও দমন অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। রাতভর গুলির লড়াই চলে। মঙ্গলবার ভোরেও গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই মহিলার। সীমান্তে দু’ পক্ষের লড়াই চলছে এখনও।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওড়িশা, ছত্তিশগড়ের নিরাপত্তা বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যৌথ আন্তঃরাজ্য অভিযানে এখনও ২০২৫ সালেই এখনও পর্যন্ত ১৫জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাও সন্ত্রাস দেশ থেকে মুছে ফেলতে আগেই লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেছেন মাও সন্ত্রাস মুছে যাবে দেশ থেকে। গতবছরে তিনি দাবি করেন, গত ১০ বছরে মাও হামলার ঘটনা ৫২ শতাংশ কমে গিয়েছে। মাও হামলায় মৃত্যুর ঘটনা কমেছে ৭০ শতাংশ। ২০২৬ সালের মধ্যে মাওবাদী কার্যকলাপ নির্মূল করতে বিশেষ কৌশল নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দেখুন অন্য খবর: