কলকাতা: বিশালাকার এক উল্কাপিণ্ডের আঘাতে পৃথিবী থেকে চিরতরে মুছে গিয়েছিল ডাইনোসরদের অস্তিত্ব। তাই কোনও উল্কা বা মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর কাছাকাছি এলেই তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মনে। সম্প্রতি তেমনই এক উদ্বেগ কাজ করছে গবেষকমহলে। জানা গিয়েছে, ‘২০২৪ ইউটিসেভেন’ নামের একটি উল্কা এবার পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে পেরিয়ে যাবে। যদিও এটির আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই, তবুও আকারে বৃহৎ এই উল্কা নিয়ে এক অন্য চিন্তা দানা বাঁধছে বিজ্ঞানীদের মনে। কারণ, এই উল্কাটি প্রায় ১৯০ ফুট চওড়া। এটি ঘণ্টায় প্রায় ২৯,৯৪৬ কিলোমিটার গতিতে উড়ে চলেছে এবং পৃথিবী থেকে মাত্র ১০ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে। জানা গিয়েছে, এটি আজ সকাল ৮টা ৩ মিনিটে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছবে।
আরও পড়ুন: আর বেশিদিন নেই, কবে ধ্বংস হবে পৃথিবী? দেখুন ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী
যদিও এই উল্কাপিণ্ড পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে না। কিন্তু, যদি এমনটা হত, তাহলে এর ফলাফল হত মারাত্মক। কারণ, ১৯০ ফুট চওড়া কোনও কঠিন বস্তু পৃথিবীতে আঘাত হানলে, বিরাট এক বিস্ফোরণ হবে, যা অনেকগুলি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণে সমান হবে। এর প্রভাবে বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংস হয়ে যেতেও পারে। যদিও ‘২০২৪ ইউটিসেভেন’ পৃথিবীর দিকে সরাসরি ধেয়ে আসবে না। তাই এটিকে ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক উল্কাপিণ্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। তবে এটি পৃথিবীর এত কাছে আসায় এবং এর গতিবেগ বেশি হওয়ায় এটিকে এখন পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত, নাসার ‘নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট পর্যবেক্ষণ প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে হাজারো উল্কাপিণ্ডের গতিবিধির উপর নজরদারি করা হয়। মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার, প্যান-স্টারস, ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে এবং এনইওওয়াইসের মতো বিভিন্ন মানমন্দির ও পরিদর্শন কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে এইসব কাজ পরিচালিত হয়। পাশাপাশি জেপিএলের গোল্ডস্টোন রাডারের মতো উন্নত রাডার সিস্টেমের মাধ্যমে এসবের গতিবিধি যাচাই করা হয়।
দেখুন আরও খবর: