কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Remal) নিয়ে অনেক আগে থেকেই সতর্ক নবান্ন (Nabanna)। প্রতিটি জেলাশাসক, বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। চূড়ান্ত তৎপরতা প্রশাসনে। এবার রেমালের জেরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সামলাতে কোমর বেঁধে প্রশাসনকে নামতে উপর মহল থেকে নির্দেশ। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা জানিয়েছেন, দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করতে হবে। কলকাতায় যেখানে যেখানে জল জমেছে সেখানে পাম্প চালিয়ে জল বের করতে হবে। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জেলাশাসকদের থেকে ব্লক ভিত্তিক রিপোর্ট চাইলেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
কলকাতার পার্ক সার্কাস, ঢাকুরিয়া, বালিগঞ্জ, আলিপুর-সহ নানা জায়গায় হাঁটুজল জমে। উত্তর কলকাতার একাংশেও জমেছে জল। বিদ্যুতের তার, খুঁটি ছিঁড়ে নানা এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। পুরসভা জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম রাতেই আশ্বস্ত করে বলেছেন, আপাতত কোনও ক্রাইসিস নেই। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, কিছু কিছু জায়গায় ট্রান্সফরমার উড়ে গিয়েছে। পরিস্থতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: রেমালের দাপট, নামখানায় দেওয়াল চাপা পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
রেমালের জন্য রাজ্যজুড়ে ১৫০০ -রও বেশি ক্যাম্প চলছে। যার মধ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১০০০ ক্যাম্প চালানো হয়েছে। ঝড়ের জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় লট ৮-এর জেটি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত মেরামতি করতে বলা হয়েছে পূর্ত দফতরকে।
আরও খবর দেখুন