নামখানা: রেমালের প্রভাবে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় (Coastal area of Sundarbans) ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত। রবিবার রাতে বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝড়ে বহু কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ার পাশাপাশি উড়ে গিয়েছে বাড়ির ছাউনি। নামখানার (Namkhana) দ্বারিকনগরের বাসিন্দা বছর সত্তরের দয়মন্তী সামন্তেরও ঝুপড়ি উড়ে গিয়েছে। ফলে এখন খোলা আকাশের নিচে এসে দাঁড়িয়েছেন প্রতিবন্ধী এই প্রৌঢ়া।
ঠিকমত কথা বলতে পারেননা দয়মন্তী দেবী। পরিবারেরও কেউ নেই। পাননি আবাস যোজনার বাড়িও। রাস্তার পাশে কয়েকটি বাঁশের খুটি দিয়ে ত্রিপলের ছাউনির নিচে থাকতেন। দুর্যোগের মধ্যে অসহায় অবস্থায় রাস্তায় বসে আর্তনাদ করতে দেখা গেল তাঁকে। প্রশাসনের কারোরই দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ। কেন প্রশাসন তাঁকে ফ্লাড বা সাইক্লোন সেন্টারে তুলে নিয়ে গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: সোমবারও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা শহরে, বইবে ঝোড়ো হাওয়া
উল্লেখ্য, রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ (Cyclone Remal)। সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় রেমালের তাণ্ডবে উপড়ে পড়েছে গাছ। রাস্তার উপর গাছ ভেঙে পড়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। জেসিবি দিয়ে গাছ সরাবার কাজ শুরু হয়েছে সকাল থেকেই। বন্ধ রয়েছে কুলতলি থেকে কৈখালী যাওয়ার রাস্তাও। যেখানে যেখানে নদী বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে সেখানে কাজ শুরু করেছে এনডিআরএফ।
আরও খবর দেখুন