কোচবিহারঃ ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের জেরে খুন (Death) করে মাটিতে দেহ পুঁতে রাখার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের ঘোকসাডাঙ্গা থানা এলাকায়। শনিবার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তোর্ষা নদীর চর থেকে মৃত ফইজুল হকের (Faizul Haque) দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ অক্টোবর কোচবিহারের (Coochbehar) ঘোকসাডাঙা থানায় ফইজুল হকের নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়। সেই অভিযোগে কয়েকজন যুবকের নাম উল্লেখ ছিল। পুলিশ সেই নিখোঁজ ফইজুল হকের মোবাইল উদ্ধার করে সন্দেহজনক কয়েকটি নম্বর নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। গত ২৬ অক্টোবর রমজান আলি নামে এক যুবককে আটক করে। তারপর তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও চারজনের নাম উঠে আসে। ঘটনায় মেয়ে ও তার বাবা-মা সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে এদিন গ্রেফতার করা হয়। এরপরই এদিন দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পুজো হল বাংলা জুড়ে
মৃত ফইজুল হকের বাবার দাবি, একটি মেয়ের সঙ্গে তার ছেলের বিয়ের কথা হয়। কিন্তু পরে ছেলের অন্য এক জায়গায় বিয়ে দেওয়া হয়। তবে সেই মেয়ের সঙ্গে ছেলের কোনওরকম প্রেমের সম্পর্ক, এমনকী বিয়ের পরেও কোনও সম্পর্ক ছিল কি না আমার জানা নেই। কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, ঘোকসাডাঙ্গায় গত ২০ তারিখ থেকে ফইজুল হক নামে এক যুবক নিখোঁজ ছিল। সেটা নিয়ে আমরা খোঁজ করছিলাম। ২৬ তারিখে একজনকে ধরতে পারি। শেষ কল রেকর্ড দেখে জানতে পারি এর সঙ্গে কথোপকথন হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই যুবককে নদীর পাড়ে মারধর করে কবর দিয়ে দেয়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি। এক মহিলাও গ্রেফতার হয়েছে। কীভাবে মারা গিয়েছে ময়নাতদন্তে জানা যাবে। মোট পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছে।
আরও খবর দেখুন