কলকাতা: গ্রেফতার (Arrest) অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব প্রদীপ্ত রাজ পুরোহিত (Former Personal Secretary Pradipta Raj Purohit) । তার বিরুদ্ধে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে।
হলদিয়ার (Haldia) চৈতন্যপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ পুরোহিতকে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর প্রাক্তন সচিবের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ালেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী।
বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অধীর চৌধুরী জানান, ‘আমি একবারও বলছি না ওই ব্যক্তিকে পুলিশ ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়েছে। এই ক্ষেত্রে পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: অশান্ত যোগেশ চন্দ্র কলেজ, মামলা দায়ের, আগামীকাল শুনানির সম্ভাবনা
উল্লেখ্য,অধীর চৌধুরীর দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন প্রদীপ্ত পুরোহিত। হলদিয়ার সুতাহাটা থানার অন্তর্গত চৈতন্যপুরের বাসিন্দা ছিলেন প্রদীপ্ত। তবে কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লিতে থাকতেন। সেই সূত্রেই তাঁর সঙ্গে অধীর চৌধুরীর পরিচয় হয়। তিনি লোকসভায় ‘রিসার্চ অফিসার’ পদে কর্মরত ছিলেন। কেন্দ্র সরকারের কোনও এক যুগ্ম সচিবের নাম ভাঁড়িয়ে জালিয়াতি করেছেন অভিযোগ সামনে আসে।
প্রদীপ্ত রাজ পুরোহিতের বিরুদ্ধে নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘোরার অভিযোগ রয়েছে। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন তিনি। এই সমস্ত অভিযোগ পুলিশে কাছে জমা পড়ে। এর পর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে শুরু করেন প্রদীপ্ত। প্রদীপ্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা হওয়ার পরেই রাজ্য পুলিশ গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে।
প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন,’ কংগ্রেসের সাংসদ থাকার সময় ৩-৪ জনকে আমি আমার ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে পেয়েছি । এই পদ এবং নিযুক্ত ব্যক্তিদের বেতন দেশের সংসদের তরফ থেকে দেওয়া হয়। ‘ ‘
আমি যখন সংসদে কাজের অভিজ্ঞতা আছে এরকম একজন ব্যক্তিকে খোঁজ করছিলাম সেই সময়ে ওই যুবকের বাবা এসে তাঁদের আর্থিক অনটনের কথা আমাকে জানিয়েছিলেন। তাঁকে ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে রাখার জন্য অনুরোধ করেন। ওই যুবক আমার সঙ্গে কাজ করার সময় যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে ভালো কাজ করেছেন।’ অধীর আরও জানান, লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই ওই যুবক আর আমার সচিবের পদে নেই। সে এখন সংসদের একজন কর্মী।’
অধীর আরও আরও জানান, ওই যুবকের বাড়ি কোথায় আমি জানি না, কোনদিনও যায়নি। আমার সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পর তার সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। মাঝে মধ্যে জরুরি কাছে ফোনে কথা হয়েছে। কাল রাতে ওই যুবকের পরিবার আমাকে ফোন করে সমস্ত বিষয়টি জানান। গোটা বিষয় নিয়ে আমি ব্যক্তিগত কাউকে কোনও অনুরোধ জানায়নি। পুলিশ নিজের মতো করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
দেখুন অন্য খবর: