অভিষেকের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে, প্রকাশ্যে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

শিলিগুড়ি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মঙ্গলবার দাবি করলেন। শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন উন্নয়ন পর্ষদ এবং সম্প্রদায়ের এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী ওই দাবি করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বিজেপি এসব করছে। তবে কারা অভিষেকের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, তা তিনি খুলে বলেননি। এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এরকম কথা শোনা গেল। সভাতে তিনি বলেন, আমি আগে কখনও এই কথা বলিনি। কারণ আমরা লড়াই করছি। আমাদের যা আছে তোমরা সব নিয়ে নাও। কিন্তু গণতন্ত্রকে ধ্বংস করো না।

এদিন উত্তর ২৪ পরগনার হাবরাতে এক প্রশাসনিক সভাতেও মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এজেন্সিরাজের প্রসঙ্গ উল্লেথ করেন। তিনি বলেন, আমরা মাথা নত করি না বলে বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই, আইটিকে কাজে লাগাচ্ছে। হাবরা থেকেই তিনি শিলিগুড়ি রওনা হয়ে যান।

আরও পড়ুন: আমাকে গুন্ডামি করতে বাধ্য করবেন না, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেকের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম প্রকাশ্যে আসে। ওই সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তা ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়ায় সেই কাকুর নামও। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর সাহেব অভিষেককে কেউ ছুঁতে পারবে না। পরে অবশ্য কালীঘাটের কাকুকে ইডি গ্রেফতার করে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তা নিয়ে ইডি আদালতে প্রশ্ন তোলে। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা নিয়েও কয়েকমাস ধরে টানাপড়েন চলে। শেষে আদালতের নির্দেশে কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে সক্ষম হয় ইডি। মামলার সূত্রেই আদালতে অভিষেকের সংস্থার সম্পত্তির কথা ওঠে। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, অভিষেকের সংস্থার কী কাজ, ওই সংস্থার এত আয় কোথা থেকে হয়। আদালত অভিষেকের মা-বাবাকে তলব করে। তাঁরা হাজার হাজার পাতার নথি দেয় আদালতে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত অভিষেক ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন। এখনও তিনি ওই সংস্থার সিইও।

আরও খবর দেখুন