কলকাতা: কসবায় (Kasba Case) বাবা-মা এবং শিশুর আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক লোন এজেন্ট (Loan Agent Arrest)। একাধিক ব্যাঙ্ক এবং অ্যাপ থেকে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকা লোন পাইয়ে দিয়ে ‘কমিশন’ হাতানোর অভিযোগ ওঠেছে ধৃত সোমশুভ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে। টানা জেরায় তার বক্তব্যে অসঙ্গতি মেলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুভাষগ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে তোলা হবে। এর আগে নিহতদের মামা, মামী এবং এক লোন রিকভারি এজেন্টকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
অভিযোগ, অটোচালক সোমনাথ রায়কে লোন পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন ধৃত সোমশুভ্র মণ্ডল। তার পরিবর্তে নিজে ‘কমিশন’ নিয়েছিলেন। সোমনাথকে টাকার বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে সোমনাথ, তাঁর স্ত্রী সুজাতা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাঁদের তিন বছরের সন্তান রুদ্রনীলের মৃতদেহ বাবার দেহের সঙ্গে কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। ওই ঘরের দেওয়ালেই পেন্সিল দিয়ে লেখা সুইসাইড নোট মিলেছে। সুইসাইড নোটে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ এবং মামা-মামির নাম উল্লেখ করে গিয়েছিলেন সোমনাথ। একই সঙ্গে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও এনেছিলেন তিনি। কসবাকাণ্ডে প্রথমে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সোমনাথের মামা এবং মামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যুগ্ম কমিশনার ব়্যাঙ্কে দুই অফিসার পাচ্ছে লালবাজার?
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমশুভ্র মণ্ডল একাধিকবার বিভিন্ন এজেন্সি থেকে কমিশনের বিনিময়ে লোন পাইয়ে দিয়েছিলেন মৃত সোমনাথকে। কোনও এজেন্সি থেকে ৫ লক্ষ, কোথাও থেকে দেড় লক্ষ টাকা লোন পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরে ঋণ মেটাতে দম্পতিকে চাপ দিচ্ছিলেন। সেই সূত্রেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দু’দিন আগে এই ঘটনায় চঞ্চল মুখোপাধ্যায় নামের আরও এক ‘দালাল’কে গ্রেফতার করে ছিল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধেও সোমনাথদের ১০ লক্ষ টাকা ঋণ পাইয়ে দিয়ে ‘কমিশন’ নেওয়ার অভিযোগ ছিল। একই অভিযোগে গ্রেফতার হলেন সোমশুভ্র।
অন্য খবর দেখুন