হুগলি: বাসলিকা অফ দি হোলি রোজারি যার পোশাকি নাম ব্যান্ডেল চার্চ। সোমবারই ২৫ ডিসেম্বর। বড়দিন উপলক্ষে সেজে উঠেছে বাংলা, বাংলার চার্চ, গির্জা। বাদ যায়নি ব্যান্ডের চার্চও। সেজে উঠেছে ব্যান্ডেল চার্চ (Bandel Church), সাজিয়ে তোলা হয়েছে ব্যান্ডেল চার্চ (Bandel Church Ready Christmas )। ১৫৯৯ সালে হুগলির ব্যান্ডেলের গঙ্গার তীরে রোমান ক্যাথলিকদের ঐতিহাসিক এই চার্চটি গড়ে ওঠে। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে যে কটা প্রাচীন গির্জা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ব্যান্ডেলের এই গির্জাটি।
প্রায় চারশো বছরের নানা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এই ব্যান্ডেল চার্চ। ১৫৯৯ সালে ব্যান্ডেলে ছোট একটি গির্জা তৈরি করা হয়। শোনা যায়, ১৬৩২ সালে মোগল সম্রাট শাজাহানের সঙ্গে পর্তুগিজদের যুদ্ধ হয়। মোগল সৈন্যরা যুদ্ধে এই এলাকা ধ্বংস করে। পরে শাজাহানই চার্চ তৈরির জন্য জমি দান করেন ও অর্থ দেন। সেই জমিতেই তৈরি হয় চার্চ। প্রতিবছর শুধু ভারতবর্ষ নয়, ভারতবর্ষের বাইরে থেকেও বহু পর্যটক ব্যান্ডেলের এই ব্যান্ডের চার্চ দেখতে আসেন। ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে চার্চটি। আলোর বর্ণ ছটায় এক মায়াবী রূপ পেয়েছে চার্চ সংলগ্ন পুরো এলাকাটি। ২৪ ডিসেম্বর রাত দশটায় থেকে শুরু হয় প্রার্থনা, চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। ২৫ শে ডিসেম্বরের পর থেকে পুরো জানুয়ারি মাস এইখানে মানুষের সমাগম হয়। তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয় প্রতি বছর।
আরও পড়ুন: ‘উপকারী’ ব্যাকটেরিয়ার নামকরণ রবীন্দ্রনাথের নামে
বড় দিনের আগে থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নামে ব্যান্ডেল চার্চে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় এই সময়ে। চার্চের নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়। সবমিলিয়ে বড়দিনে ব্যান্ডেল চার্চ দর্শনের জন্য অপেক্ষা করছে শুধুমাত্র খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষ নয় এর সঙ্গে অন্যান্য হাজার হাজার পর্যটকরাও। ব্যান্ডেল চার্চের ফাদার জনি নেডুনাট জানান, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যান্ডেল ব্যাসিলিকা সাজানো হয়েছে।
আরও অন্য খবর দেখুন