কলকাতা: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। ঢাকা-সহ চার জেলায় সাত ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল করা হয়েছে। চার ঘণ্টার জন্য খুলেছে অফিস-কাছারি। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিও সীমিত পরিসরে খোলা রাখার অনুমতি পেয়েছে। এখনই খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি একে বারে স্বাবাবিকে ফিরলে তবে খুলবে স্কুল-কলেজের দরজা। ছাত্র আন্দোলনের জেরে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০০ ছাড়িয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Dhaka Medical College Hospital)তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে একজন হলেন হিন্দু ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-সহ তিন জেলায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে কার্ফু। এছাড়া অন্যান্য জেলাতেও জেলাশাসকদের নির্দেশে কারফিউ শিথিল রাখা হবে। এদিকে, ঢাকা-সহ বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে আহত চিকিৎসাধীন আরও চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে, কোটা বিরোধী আন্দোলনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০১-এ। অন্যদিকে পরিস্থিতি অকটু স্বাবাবিক হতেই বৃহস্পতিবার থেকে কার্ফু শিথিলের সময় স্বল্প দূরত্বের কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আন্দোলনের জেরে গত শনিবার থেকেই বন্ধ ছিল রেল পরিষেবা। এদিকে হিংসার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত সেদেশে ১৭৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঢাকায় এখনও মোতায়েন রয়েছে সেনা।
আরও পড়ুন: দেশকে ধ্বংস করে দেবেন, ট্রাম্পের নিশানায় কমলা হ্যারিস
বুধবার থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, কল-কারখানাগুলি খুলেছে। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত অফিসগুরলি খোলা থাকবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও অধিকাংশ জায়গাতেই ফের চালু হয়েছে। তবে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার এখনও বন্ধ রয়েছে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে হিংসা ছড়িয়েছিল তাতে লাগাম টানতে, গত শুক্রবার থেকেই সারাদেশে কার্ফু জারি করেছিল শেখ হাসিনা সরকার।
দেখুন ভিডিও