ওয়েব ডেস্ক: ধর্ষণ (Rape) ঘৃণ্যতম অপরাধগুলির একটি। ধর্ষণ রুখতে ও নারী সুরক্ষায় আইনি বিধান রয়েছে। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হচ্ছে, সেই আইনি রক্ষাকবচকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে তোলাবাজি করছেন এক শ্রেণির উচ্চশিক্ষিত মহিলা। তাতে সামনের সারিতে একাংশ মহিলা আইনজীবী। যোগসাজশ রয়েছে পুলিশেরও। নতুন ওই পেশার নাম ‘সেক্সটরশন’ (Sextortion)। সোজা কথায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে তোলাবাজি। ক’দিন আগে আদালতের চৌহদ্দিতে এক আইনজীবী-মহিলা জুটির সংবাদ সামনে এসেছিল। এবার পুলিশ-মহিলা আইনজীবী জুটির সংবাদ। ঘটনায় অভিযোগ খতিয়ে দেখে বম্বে হাইকোর্ট মহারাষ্ট্রের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিল।
বিচারপতি মোহিত দেরের জানিয়েছেন, এমন মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগের ফলে প্রকৃত ধর্ষণের অভিযোগে প্রভাব পড়ছে। অভিযুক্ত পুরুষের সম্মানহানি হচ্ছে। এক মহিলা আইনজীবীর ধর্ষণের অভিযোগে ৩০ মাসের বেশি কারান্তরালে কাটিয়ে ফেলেন একটি গাড়ি কোম্পানির বর্ষীয়ান ম্যানেজমেন্ট অফিসার। জেল থেকে পাঠানো তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই নির্দেশ আদালতের। অভিযোগ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত পেশাজীবীদের ধর্ষণ এবং সম্ভ্রমহানির মিথ্যা অভিযোগ এনে থাকেন ওই মহিলা আইনজীবী। আর এই কাজে ওই অভিযোগকারিণীর সহযোগী ছিলেন এক পুলিশ অফিসার।
আরও পড়ুন: ঋণে সপরিবারে আত্মহত্যা? চিকিৎসক, স্ত্রী ও দুই সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার
নবী মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে অভিযোগকারী লিখেছিলেন, শিক্ষিত বুদ্ধিমতী মেয়েদের এটি এক দুর্দান্ত পথ। ধর্ষণ, সম্ভ্রমহানি এবং মেয়েদের সুরক্ষার স্বার্থে থাকা আইনের ভয়ংকর অপপ্রয়োগ করে দ্রুত বিপুল অর্থ রোজগারের পথ তৈরি করে নিচ্ছেন এই মহিলারা।
অভিযোগকারীর সওয়াল লত দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও আরও কয়েকটি রাজ্যের একাংশ মহিলা আইনজীবীরা সংগঠিত ও সুচারুভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই তোলাবাজি বা সেক্সস্টরশন চালাচ্ছেন। বাছাই করা সচ্ছল পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার পর অল্প বিস্তর অর্থ চাওয়া দিয়ে শুরু করা হয়। এরপর ভালোবাসার অভিনয় করে ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান। প্রতিবাদ করলে ধর্ষণ সহ অন্যান্য মহিলা সুরক্ষাজনিত আইনের প্রয়োগ করে সমঝে দেওয়া হয়।
দেখুন অন্য খবর: