কলকাতা: শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধা নেই। রাজ্য পুলিশ, সিবিআই (CBI), ইডি (ED) যে কেউ গ্রেফতার করতে পারবে শেখ শাহজাহানকে। তবে তদন্তে স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে। ৭ ফেব্রুয়ারির অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের রায় সংশোধন করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননম জানিয়ে দিলেন, তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ থাকলেও গ্রেফতারির উপরে কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি আদালত। বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিভগননম বলেন, সিবিআই, ইডি এবং রাজ্য পুলিশ যে কেউ শেখ শাহজাহানকে (Seikh Shahjahan) গ্রেফতার করতে পারে।
আদালত জানিয়েছে, আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত ২২ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। জাতীয় এসসি কমিশনের হয়ে তিনিও আদালতের কাছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তাঁর রিপোর্ট জমা করতে পারবেন। আদালতবান্ধব হিসেবে জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ও সন্দেশখালি নিয়ে তাঁর রিপোর্ট পেশ করতে পারবেন। তবে এই মুহূর্তে তিনি সন্দেশখালিতে যেতে পারছেন না আদালতের নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১১)
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ফের বিক্ষোভ মহিলাদের, বেড়মজুরে প্রধানের বাড়ি ঘেরাও
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, গ্রেফতারি হচ্ছে তদন্তের একটি অন্যতম দিক। যেহেতু একক বেঞ্চের নির্দেশ আছে যে পুলিশ তদন্ত করতে পারবে না। তাই সিট গঠন করে দিয়েছে একক বেঞ্চ। সিটের তদন্তের উপরে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিত দিয়েছে এই বেঞ্চ। ফলে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ইডির আইনজীবী ধীরাজ দ্বিবেদী বলেন, পুলিশ যদি তদন্ত করে তাহলে সমস্ত নথি নষ্ট করার আশঙ্কা রয়েছে। কেন্দ্রের তরফে এস ভি রাজু বলেন, রাজ্য পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করলে আমাদের তদন্তে সমস্যা হতে পারে। তাই আমাদের আবেদন সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হোক। সওয়াল জবাব শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, স্পষ্ট ভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি যে, শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যাবে না। দুটো দিন সময় দিন। সোমবার তো শুনানির দিন ধার্য আছে।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, সিবিআই তদন্ত কেন? ইডির নিজস্ব ক্ষমতা আছে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করার। প্রধান বিচারপতি বলেন, যে ব্যক্তির কথা বলা আছে সেই ব্যক্তি একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি এখনও ফেরার রয়েছেন। এক্ষেত্রে জনগনের ধারণা কী হচ্ছে?
অন্য খবর দেখুন