কলকাতা: দাড়িভিটের ঘটনা (Darivit Case) নিয়ে ফের আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এনআইএ (NIA) তদন্তে রাজ্য সরকারের স্থগিতাদেশের আর্জি আগেই খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।সেই বেঞ্চও একক বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখার কথা বলেছে। এনআইএ তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। দাড়িভিটের ঘটনায় যেহেতু বিস্ফোরণের অভিযোগ রয়েছে, তাই এনআইএ-কেই ওই ঘটনার তদন্ত করতে হবে। এ কথা জানিয়ে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত শুরু করতে বলেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি আহতদের ক্ষতিপূরের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ১৫ মে মামলার পরবর্তী শুনানি।
এই মামলায় রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও এনআইএ-কে কেন কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল বেঞ্চ। আদালতে নির্দেশ অমান্য করায় রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং সিআইডি ডিআইজির বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: মুখ্যসচিবের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে উত্তর দিনাজপুর জেলায় শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে দুই যুবকের মৃত্যু হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলে দাড়িভিট স্কুলে গুলি চলার ঘটনায় সিআইডি তদন্তে অসন্তুষ্ট হয় আদালত। যেহেতু ঘটনায় দেশি বোমা ব্যবহৃত হয়েছে, তাই এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিমত আদালতের।ঘটনার দিন দাড়িভিট হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা ইসলামপুরে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় স্কুলের দুই প্রাক্তনীর। ঘটনাস্থলেই মারা যান তাপস বর্মন। জখম রাজেশ সরকারকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। দুই পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করে। পরিবারগুলি সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আসে। প্রসঙ্গত, ওই বিদ্যালয়ে উর্দু শিক্ষক নিয়োগের বিরোধিতা করছিলেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা ইংরেজি বাংলা ইতিহাস ও বিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানায়। প্রসঙ্গত রামনবমী উপলক্ষে হাওড়া হুগলি এবং ডালখোলায় সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
অন্য খবর দেখুন