নয়াদিল্লি: দিল্লিতে (Delhi) এখন নিঃশ্বাসে বিষ। দূষণের মাত্রা এতটাই তীব্র যে প্রাণ ওষ্ঠাগত। সমস্যা বাড়ছে প্রাণী, পাখিদেরও। তারই মধ্যে একটি খারাপ খবর সামনে এল। পাখি (Bird), প্রাণীদের (Animal) উদ্ধার করতে আর দেখা যাবে না দমকল বিভাগকে। দিল্লিতে এই বছর এখনও পর্যন্ত দমকল কর্মীরা পাখিদের উদ্ধারের জন্য ২৬৮৮টি এবং প্রাণীদের উদ্ধারের জন্য ৩১৬৩টি ডাক পেয়েছেন। পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার, পাখি, বিড়াল, কুকুরদের ও বিভিন্ন প্রাণীদের উদ্ধারের জন্য দমকলকে কতটা ভরসা করেন দিল্লির বাসিন্দারা। কিন্তু, সেই রাস্তা এবার বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। সৌজন্যে দিল্লির স্বরাষ্ট্রসচিবের একটি সিদ্ধান্ত। প্রাণী ও পাখি উদ্ধার বন্ধ করার বিষয়ে দিল্লির স্বরাষ্ট্র সচিব আনবারসু গত সপ্তাহে একটি বৈঠক করেন। সেখানেই না কি এই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। কর্মী সংখ্যা কম থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই বিষয়ে দিল্লি দমকল বিভাগের ডিরেক্টর অতুল গর্গ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে বুধবার এই খবর জানা গিয়েছে।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর দক্ষিণ দিল্লির গ্রিন পার্ক এক্সটেনশন এলাকায় ড্রেনের ভিতরে একটি কুকুর আটকে থাকায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দমকল ডাক পায়। ড্রেনে জায়গা কম থাকায় খালি হাতে কুকুরটিকে টেনে বের করা যেত না। অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা তখন ড্রেনের পাশের দেওয়াল ভাঙার চেষ্টা করেন। তাতে কাজ না হওয়ায় কিছুক্ষণ পরে দমকল আধিকারিকরা উপর থেকে রাস্তা খুঁড়ে কুকুরটিকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্থানীয়দের দাবি, কুকুরটি প্রায় ৪৮ ঘন্টা আটকে ছিল। অবশেষে দুপুর ১টার দিকে হাততালি ও উল্লাসের মধ্যে কুকুরটিকে টেনে বের করা হয়। দমকলের ডাক সাধারণত গ্রীষ্মের মাসগুলিতে সর্বোচ্চ হয়। দমকলকর্মীরা এক দিনে ২০০টি পর্যন্ত জায়গা যায়। শীতের মাসগুলিতে এগুলি ধীরে ধীরে কমে যায় এবং কর্মীদের সংকট ততটা তীব্র হয় না। পাখি, প্রাণী উদ্ধারের জন্য নির্দিষ্ট দল ছিল না। তবু দীর্ঘদিন ধরে সেখানকার দমকলকর্মীরা এই কাজ করে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ইউপিতে গাড়ি ও ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত পাঁচ ডাক্তারি পড়ুয়া, আহত আরও ১
দেখুন অন্য খবর: