কলকাতা: হেতাল পারেখ হত্যাকান্ডে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসির ২০ বছর পর ফের ওই ঘটনার পুনর্বিচারের দাবীতে মঞ্চ গড়ে আন্দোলন, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।
কলকাতায় হেতাল পারেখ হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ২০০৪ সালে সেই নির্দেশ কার্যকর হয়। তবে ঘটনার প্রায় ২০ বছর পর ফের ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে নির্দোষ দাবি করে, মামলা পুনরায় চালুর দাবিতে রীতিমত মঞ্চ গড়ে আন্দোলনে নামলেন ছাতনার মানুষ। সূত্রের খবর, প্রকৃত বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে রাষ্ট্রপতির কাছে মামলা পুনরায় চালুর আবেদন জানাবেন তারা।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় পারদ পতন কলকাতায়, জাঁকিয়ে শীত উত্তরবঙ্গে
সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডে তিলোত্তমার খুন ও ধর্ষণকারীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য। আর সেই পটভূমিকাতেই ফের একবার প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে হেতাল পারেখের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ১৯৯০ সালের ৫ মার্চ কলকাতায় ঘটে যাওয়া হেতাল পারেখ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সে সময় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। ঘটনায় সে সময় গ্রেফতার হন ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হেতাল পারেখের আবাসনে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষী ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়।
হেতাল পারেখ হত্যাকাণ্ডে ছাতনার কুলুডিহি গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় প্রায় ১৪ বছর কারাবাসের পর আদালতের নির্দেশে ২০০৪ সালের ১৪ আগষ্ট ধনঞ্জয়কে ফাঁসি দেওয়া হয়। তাঁর ফাঁসির পর থেকেই স্থানীয়রা দাবী করতে থাকেন ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় নির্দোষ ছিলেন। তাঁর প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তিলোত্তমাকাণ্ডের পর স্থানীয়দের সেই দাবী এবার আন্দোলনের রূপ নিতে চলেছে। স্থানীয়দের উদ্যোগে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ গড়ে ওই মামলা পুনরায় চালু করার দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। ওই মঞ্চের উদ্যোগে গন স্বাক্ষরিত আবেদন পত্র পাঠানো হবে দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে।
প্রসঙ্গত মঞ্চের দাবী, এই মামলা পুনরায় চালু হলেও ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে আর ফেরানো সম্ভব নয়। কিন্তু মামলায় তাঁকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলে ছাতনার মাটি যে ধর্ষকের মাটি নয় তা যেমন প্রমাণিত হবে তেমনই ত্রুটি মুক্ত বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তা হয়ে উঠবে একটি মাইল ফলক।
দেখুন আরও খবর: