সন্দেশখালি: সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। স্থানীয় অনেক মহিলার অভিযোগ, পুলিশের মদতে উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা, শেখ শাহজাহানরা বিভিন্ন সময়ে তাঁদের উপর অত্যাচার করেছে। পুলিশ মাসের পর মাস এই নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে চায়নি। বরং তাঁদের বলা হয়েছে, দাদাদের কাছে যাও। কথা বলে মিটিয়ে নাও। জনরোষের পর মহিলা পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে টিম গঠন করেছে প্রশাসন। তারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে মহিলাদের বয়ান নেওয়ার চেষ্টা করেছে। শুক্রবার পর্যন্ত সেই টিমের তরফে বলা হয়েছে, শ্লীলতাহানি কিংবা ধর্ষণের কোনও অভিযোগ মেলেনি।
আরও পড়ুন: সিংহের নাম আকবর, সিংহীর নাম সীতা কেন? মামলা হাইকোর্টে
মহিলা পুলিশ অফিসাররা এই দাবি করলেও শনিবারই এক মহিলার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে ধৃত জেলা পরিষদ সদস্য উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং খুনের চে্ষ্টার ধারা যুক্ত করা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। বিরোধীদের দাবি, ধীরে ধীরে আরও অনেক কিছুই সামনে আসবে। বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, কেশপুর হবে সিপিএমের শেষ পুর। আমরা বলছি, এই সন্দেশখালিই হবে তৃণমূলের শেষ খালি।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কররে লোপাট (পর্ব-৪)
তিনদিন আগে বারাসতের ডিআইজি সুমিত কুমার বলেছিলেন, যারা হাঙ্গামা করেছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। মহিলা পুলিশের দল যাদের নাম পাবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সুমিত কুমারকেই শনিবার বদলি করে দেওয়া হল। তাঁকে ডিআইজি (নিরাপত্তা)পদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় বারাসতের ডিআইজি করে আনা হল মালদহ রেঞ্জের ডিআইজি ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে। দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সিদ্ধিনাথ গুপ্তাকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হল রাজ্য পুলিশের ট্রাফিক ও রোড সেফটির এডিজি সুপ্রতিম সরকারকে। গত ৩১ জানুয়ারি সিদ্ধিনাথকে দক্ষিণবঙ্গের এডিজি করে আনা হয়েছিল। ১৭ দিনের মাথায় ফের বদলি করা হল তাঁকে। এদিন কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশে আরও কিছু অদল বদল করা হয়েছে। নবান্নের দাবি, এটা রুটিন বদলি। বিরোধীদের পাল্টা দাবি, সন্দেশখালির ঘটনার পরই পুলিশে এই বদলি বুঝিয়ে দিল, রাজ্য সরকার কতটা চাপে আছে। কয়েকদিন আগে সন্দেশখালি নিয়ে এক মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেছিলেন, যতদিন না স্থানীয় মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরে আসছে, ততদিন যত বড় পুলিশ অফিসারকেই আনা হোক না কেন, সেখানে শান্তি ফিরব না।
দেখুন অন্য খবর: