ওয়েব ডেস্ক: নাগা সন্ন্যাসী। নাম বিজয়পুরী বাপু। যাঁরা কপর্দকশূন্য। কিন্ত তাঁদের হাতেও মোবাইল? স্মার্ট ফোন! এর আগে কুম্ভমেলাতে নাগা সন্ন্যাসীর হাতে মোবাইল দেখা গিয়েছে। তবে যেভাবে স্মার্টফোনে ছড়াছড়ির ছবি দেখা গিয়েছে এবারের মহাকুম্ভে (Maha Kumbh), তাতে চমকে গিয়েছেন অনেকে। এবারের মহাকুম্ভকে বলা যেতে পারে আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে ডিজিটালের (Dizital) মিশ্রণ। সব আয়োজনেই ডিজিটালি ব্যবস্থা। বিশ্বের সব থেকে বেশি পুণ্যার্থীর ভিড় হয় কুম্ভ মেলায়। ১২ বছর পর এবার মহাকুম্ভ। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে (Pryagraj) হাজির বিশ্বের সব প্রান্তের বাসিন্দারা। এলাহাবাদে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে চলছে মহাযজ্ঞ। এবার মহাকুম্ভের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ডিজিটাল সজ্জা। ড্রোন থেকে সিসিটিভি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ডিজিটালি মুড়ে ফেলা হয়েছে। এর আগে ১২ বছর আগে মহাকুম্ভের সময় ডিজিটাল অগ্রগতি এতটা ঘটেনি।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, সোমবারই ৬০ লক্ষ মানুষ মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান করেছেন। এবা্রের কুম্ভ আধুনিকতা ও বিশ্বাসের মিশেল। পুলিশি ব্যবস্থাপনাতেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। ভিড়ের যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য ঘাটগুলো বাড়ানো হয়েছে। এই কুম্ভ হচ্ছে স্বর্গীয় ও ডিজিটাল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মহাকুম্ভের সূচনার জন্য সোমবারকে বিশেষ দিন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার মকরসংক্রান্তিতে প্রথম অমৃত স্নান হবে। ২ হাজার ড্রোন সমুদ্রমন্থনের ঘটনা তুলে ধরবে। গঙ্গা আরতিরও বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিন্দুশাস্ত্র মতে মহাকুম্ভের পুণ্যস্নান অতি পবিত্র, জানুন এর পিছনে আসল ব্যাখ্যা
মহাকুম্ভে রয়েছে ২৭০০ সিসিটিভি। উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ডিজি কুম্ভ ইনিশিয়াটিভ। বলা হচ্ছে উৎসর্গ ও প্রযুক্তির সংযোগ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে জনতার প্রতি নজর রাখা হচ্ছে। জলের নীচে ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে। মোট ৩৭ হাজার পুলিশকর্মী নিয়োগ। সাইবার বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে নজর রাখা হচ্ছে। মহাকুম্ভ সাইবার থানাও তৈরি করা হয়েছে। মোবাইল সাইবার টিম কাজ করছে। দেড় মাস ধরে ৪৫ কোটি কোটি মানুষের আগমন হবে ওই পুণ্যভূমিতে। ডিজিটালি যা দেখবে সারা বিশ্ব।
দেখুন অন্য খবর: