নদীয়া: গত দুদিনের বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা (Farmer)। জমি থেকে পাম্প বসিয়ে সেচের মাধ্যমে জল সরাতে ব্যস্ত চাকদহ (Chakdaha) ব্লকের মলিচাগর সহ বিভিন্ন জায়গায়। চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপির মলিচাগর এলাকায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। ধনে,কালোজিরে,আলু, ঢ্যাঁড়শ, পিঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা সব জলে। আবার নতুন করে চাষ (Cultivation) করতে হবে। আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা পাম্প চালিয়ে জমি থেকে জল সরাতে।
এখানকার বেশিরভাগ চাষি জমি লিজ নিয়ে চাষ করে। ফলে লিজের টাকা মিটিয়ে জমি চাষ করতে হবে। তাও আবার এক বছরের মধ্যে জমির টাকা পুরোটাই পরিশোধ করতে হবে। বিঘা প্রতি দশ থেকে বারো হাজার টাকা দিয়ে জমি লিজ নিতে হয়।ফসল না উঠলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে জমির মালিক পুরো টাকা আগে নিয়ে নেয়। বিপাকে প্রান্তিক চাষী। মোফেজল বিশ্বাস বলেন, প্রচুর ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ জমি লিজে নেওয়া। কীভাবে ঋণ শোধ করব বুঝতে পারছি না।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের হত্যা, মন্তব্য করে মহুয়ার পাশে মমতা
রফিক মালিতা বলেন, চাষি বা কৃষকের কথা কেউ ভাবে না। এই ক্ষতিটা আমাদের অভিশাপ। মাঠ তো শুকনো ছিল। আমরা সেচ দেব পরিকল্পনা করছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টিতেই জমি জলের তলায়। আলু বীজ লাগিয়েছিলাম। এই বৃষ্টিতে আলু শেষ। আবার নতুন করে বীজ লাগাতে হবে। মিনাজ মন্ডল বলেন, চাষিদের কথা কেউ ভাবে, কেউ ভাবে না। যদি ভাবতো তবে চাষীদের পাশে এসে দাঁড়াত। হাবিব ভাগাড়ে বলেন, সকাল থেকে পাম্প চালাচ্ছি। জমি থেকে জল বের করে আবার চাষ যোগ্য জমি ফিরিয়ে আনতে হবে এটাই আমাদের লড়াই। আমাদের কথা কেউ ভাবে না।সরকার প্রান্তিক চাষি বা কৃষকদের কথা ভাবে না। ঋণে টাকা কীভাবে শোধ করব বুঝতে পারছি না। এক্ষেত্রে সরকা্র প্রান্তিক চাষিদের পাশে কবে দাঁড়াবে এই প্রশ্নটায় উঠে আসছে কৃষকদের মুখ থেকে।
আরও খবর দেখুন