কলকাতা: রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ইডির তলব প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসকে (Abhijit Das)। সোমবার তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির (ED) আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি হাওড়ার বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন।
এদিন অভিজিৎ দাস ফের বলেন, ২০১১ থেকে ২০১৪ প্রায় তিন বছর তিনি মন্ত্রীর আপ্তসহায়ক হিসেবে ছিলেন। তাঁর মা এবং স্ত্রী কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। যত দিন তিনি দায়িত্বে ছিলেন ততদিনই তাঁরাও ডিরেক্টর বোর্ডে ছিলেন। তিনি ছেড়ে দেওয়ার পর তাঁরাও সরে যান। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানকে চিনতেন। মন্ত্রীর কাছে বাকিবুর রহমান ছাড়াও অনেকে আসা যাওয়া করতেন। তবে এদিনও তিনি ইডির হাতে উদ্ধার হওয়া ডায়েরি সম্পর্কে খুলে কিছু বলেননি। তাঁর বক্তব্য ইডি এ ব্যাপারে বলতে পারবে। ডায়েরিতে মন্ত্রীর নাম কে লিখেছে বা টাকার লেনদেন সম্পর্কে তথ্যের ব্যাপারে তিনি জানাননি। তদন্তে ইডিকে সবরকম সাহায্য করবেন বলে তিনি বলেন। তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি করার পাশাপাশি গ্রেফতারের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরপুকুরে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, আহত ২১
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জোকা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়ে যাওয়ার সময় বালু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন। আমি বিজেপির ষড়যন্ত্রের শিকার। এই প্রসঙ্গেই লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, সব ব্যাপারে মমতা-অভিষেককে টানা কেন? তাঁরা কোথা থেকে এলেন? বালুকে খাদ্যমন্ত্রী করা মুখ্যমন্ত্রীর অপরাধ? তিনি কাউকে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি যদি বেইমানি করেন, তাঁর যদি পদস্খলন হয়, তার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর নয়। কল্যাণ বলেন, আমাকে মুখ্যমন্ত্রী লোকসভার মুখ্য সচেতক করেছেন। আমার যদি পদস্খলন হয়, তার দায়িত্ব কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের?
আরও খবর পড়ুন