সোনারপুর: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই শহরজুড়ে অব্যাহত হকার উচ্ছেদ অভিযান। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার গড়িয়া ও সোনারপুর এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশ প্রশাসন। এদিন সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ, রাজপুর সোনারপুর পুরসভা উপস্থিত রয়েছে। থানা ও পুরসভা মিলিয়ে শুরু হয়েছে উচ্ছেদ অভিযান। গড়িয়া বাজার, কবি নজরুল মেট্রো ষ্টেশন এলাকায় জবরদখল সরিয়ে দেওয়া হয়। ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। গড়িয়া থেকে NSC বোস রোড ধরে মহামায়াতলা পর্যন্ত হবে অভিযান।
অন্যদিকে সোনারপুর বাজার এলাকায় শুরু হয়েছে অভিযান। হকার উচ্ছেদ (Hawker’s Eviction) অভিযান সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার (Municipality Hawker’s Eviction) পুরপ্রধান পল্লব কুমার দাস। তিনি বলেন, পুরো এলাকা পরিষ্কার করা হবে, যাতে মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়। যারা জোর করে দখল করেছিল সরকারি জমি তাদের উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। প্রশাসনের এই পদক্ষেপে খুশি পথ চলতি মানুষ। তাদের বক্তব্য এরফলে যাতায়াতের সুবিধা হবে। অনেকেই বলছেন, যারা ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছিলেন তারা সমস্যায় পড়েছেন। অনেকেই ২০ বছর বা তার বেশী সময় ধরে ব্যবসা করছিলেন। অনেকেই আবার লকডাউনের সময় থেকে ফুটপাতে ব্যবসা শুরু করেন। তাদের বক্তব্য এটা করেই তারা সংসার চালাচ্ছিলেন। গরীব মানুষ কি করে এখন ভাত জুটবে সেটাই এখন চিন্তার বলে জানান তারা। তাদের এখানে বসানো হয়েছিল বলেও জানান অনেক। তাদের বক্তব্য বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করা হোক।
আরও পড়ুন: শান্তিপুরে বোমা ফেটে মৃত্যু যুবকের
বৃহস্পতিবারই হকার উচ্ছেদ নিয়ে মমতা বলেন, হকার উচ্ছেদ সরকারের লক্ষ্য নয়। বৃহস্পতিবার নবান্নে জেলাশাসক, বিভিন্ন দফতরের আমলা, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তাঁরা বার্তা আপাতত হকার উচ্ছেদ বন্ধ রাখতে হবে। হকারদের একমাস সময় দেওয়া হোক। তার মধ্যে সব দখলমুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, হকার উচ্ছেদ রাজ্য সরকারের লক্ষ্য নয়। কাউকে বেকার করে দেওয়ার অধিকার আমার নেই।
অন্য খবর দেখুন