মালদহ: মালদহে তৃণমূল নেতা খুনের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশের জালে গ্রেফতার প্রথম ব্যক্তি। তবে খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত জাকির শেখ এখনও ফেরার। মূল অভিযুক্তর খোঁজে ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে মালদহের আমবাগানে নামানো হয়েছে স্নিফার ডগ। শুধুমাত্র তাই নয়, তল্লাশি চলছে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যেও।
পুলিশের পক্ষ থেকে যেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার নাম শেখ হামজা। মালদহে কান্ডে তার যোগ থাকতে পারে এই সন্দেহে মঙ্গলবারই সেই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তারপর থেকেই তাকে দীর্ঘ জেরা করা হয় এবং আজ অর্থাৎ বুধবার মালদহে তৃণমূল নেতা খুন কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় তাকে। জেরায় জানা যায়, ধৃত হামজা তৃণমূল নেতা জাকির শেখের অনুগামী।
আরও পড়ুন: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কাণ্ডে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে: অভিষেক
ঠিক কী হয়েছিল?
মঙ্গলবার সকালে কালিয়াচকের নয়াবস্তি এলাকায় তৃণমূল নেতা বকুল শেখ নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি রাস্তার শিলান্যাস করতে গিয়েছিলেন। আর সেখানেই তাঁকে প্রথমে গুলি , আর তারপর হাঁসুয়া দিয়ে কোপ মারা হয়, শুধুমাত্র তাই নয়, পাথর ভর্তি বস্তা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে তাকে মারা হয়। দীর্ঘ আঘাত প্রতিঘাতের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
প্রকাশ্য দিবালোকে লোকালয়ের মধ্যে এমন ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রত্যক্ষদর্শীরাও। প্রথমে মনে করা হয় বিরোধী দলের আক্রশের শিকার হলেন তিনি। কিন্তু তারপর জানা যায়, গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই ঘটে এমন ঘটনা। ঘটনাটি গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই হয়েছে বলে স্পষ্টত দাবি করেন মালদহের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল গনির। কিন্তু ঘটনার জেরে এসপির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের বিধায়ক।
প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা কারণ এই ঘটনার ১২ দিন আগেই মালদহের ইংরেজ বাজারে খুন হন তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার। আর তার কদিনের মাথায় আবারও এক তৃণমূল নেতা খুন। যার জেরে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।
দেখুন অন্য খবর