কলকাতা: গোন্ডায় চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Dibrugarh Express Accident) চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনল রেল। গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের গোণ্ডায় (Gonda Train Accident ) ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের ১২ টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে এই দুর্ঘটনা তার তদন্তে ৬ সদস্যের দল গঠন করে রেল। সেই তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, রেললাইনে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই দুর্ঘটনা।
তদন্ত রিপো্র্টে বলা হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গাফিলতির (Rail Engineering department negligence reason) কারণে ১৮ জুলাই গোণ্ডায় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। বাকলিংয়ের কারণে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিতে চলছিল চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। জানা দিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুর্ঘনার আগে রেলের লখনউ ডিভিশনের এক বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার রেললাইনে ত্রুটি লক্ষ করেন। রেললাইনের কিছু অংশের বাঁধন আলগা ছিল তা লক্ষ্য করেছিলেন। দুর্ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা আগে মতিগঞ্জ-ঝিলাহির ট্র্যাকে ত্রুটি ধরা পড়লেও চালককে তা জানানো হয়নি। ওই দিন দুপুর ২.৩০ মতিগঞ্জের স্টেশন মাস্টারকে খবর দেওয়া হয়েছিল। ট্র্যাকের ত্রুটি সনাক্ত করার পরে আধিকারিকরা যথাযথ ব্যবস্থা নেননি। তদন্তকারী দলের দাবি, আগে থেকে সতর্ক করা হলেও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: শহীদ দিবসের মঞ্চে জাতীয় স্তরে একযোগে চলার ডাক মমতা-অখিলেশের
রেলের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রেললাইনের কিছু অংশের বাঁধন আলগা ছিল। তারপরও পূর্ণ গতিতে ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসকে ওই লাইন দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় ট্রেনের গতি বেগ ঘণ্টায় ৮০ কিমি ছিল। ওই লাইনে ট্রেনের গতিবেগ হওয়ার কথা ছিল ঘণ্টায় ৩০ কিমি। তদন্ত রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে ছয় সদস্যের দলটি ট্রেনটির চালক, ম্যানেজার (গার্ড), স্টেশনমাস্টার-সহ বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে। তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। গোন্ডা, ডিব্রুগড় এবং গুয়াহাটি থেকে ৪১ জন রেল কর্তাকে লখনউ ডিআরএম অফিসে তলব করা হয়। দায়িত্বে অবহেলার জন্য দায়ী কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্য খবর দেখুন