ভুবনেশ্বর: অস্ট্রেলিয়ান মিশনারি গ্রামস স্টেনস (Australian missionary Grams Staines) ও তাঁর পরিবারকে হত্যায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত (sentenced to life imprisonment) দারা সিং (Dara Singh) কি মুক্তি পাচ্ছেন? আসামির আগাম মুক্তির আবেদনে ওড়িশা সরকারকে (Orissa Government) ছয় সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে সুপ্রিম নির্দেশ (Supreme Court)।
২৪ বছর কারান্তরালে কাটিয়ে ফেলা দারা সিংয়ের মুক্তির আবেদন শুনছেন বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য সরকার বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। শুনানিতে জানায় ওড়িশা সরকার।
২০০৩ সালে নিম্ন আদালত দারা সিংকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০০৫ সালে ওড়িশা হাইকোর্টে সেই রায় বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ। সুপ্রিম কোর্টে সেই রায় ২০১১ সালে বহাল।
আরও পড়ুন: মেহুল চোকসি কোথায়? ‘রাইসিনা ডায়লগে’ প্রশ্ন এড়ালেন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের বিদেশমন্ত্রী
গত বছরের ৯ জুলাই, সুপ্রিম কোর্ট সিং মুক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওড়িশা সরকারকে নোটিশ জারি করেছিল।
দারা সিং কোর্টের কাছে তার আবেদনে জানিয়েছে, তিনি কাজে বিশ্বাস করেন, তার কর্মের মাধ্যযে যে খারাপ কাজ হয়েছে, তার শোধরানো সহ চরিত্র সংস্কারের জন্য তিনি সুযোগ প্রার্থনা করেন। আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈনের মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনে দারা সিং বলেছেন যে তিনি ২৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি। যৌবনের রাগে বশে তিনি যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন তার জন্য আজ তিনি অনুতপ্ত। আদালতে কাছে দয়াভিক্ষা প্রার্থনা করে তিনি সমাজের সেবার মাধ্যমে ফের সাধারণ জীবনে ফেরার আবেদন জানান। আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন জানিয়েছেন, দারা সিং বর্তমান বয় ৬১ বছর। ১৯ এপ্রিল, ২০২২ সালের নীতিমালার অধীনে ১৪ বছরের বেশি সাজা ভোগ করেছেন এবং ২৪ বছর ধরে প্রকৃত কারাদণ্ড ভোগ করেছেন, কোনও ছাড় ছাড়াই। এই আবেদনকারীর কখনই প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি। এমনকি তার মায়ের মৃত্যুতে শেষযাত্রায় তিনি অংশ নিতে পারেননি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২২-২৩ জানুয়ারি মধ্যরাতে কেওনঝার জেলার মনোহরপুর গ্রামে দারা সিং-এর নেতৃত্বে একদল জনতা স্টেইনস এবং তার দুই ছেলে ১১ বছর বয়সী ফিলিপ এবং ৮ বছর বয়সী টিমোথিকে তাদের স্টেশন ওয়াগনে ঘুমন্ত অবস্থায় আক্রমণ করে এবং তারপর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দেখুন অন্য খবর: