কলকাতা: ডেবরা থানার (Debra PS) সব সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) সংরক্ষণ করতে হবে। নির্দেশ আদালতের। নিম্ন আদালতে পেশ করা রিপোর্ট হাইকোর্টে (Calcutta High Court) পেশ করতে হবে। নির্দেশ আদালতের। জেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা বিশেষ দল গঠন করে ময়নাতদন্ত (Post Mortem) করতে হবে। ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। সমস্ত প্রক্রিয়ার শেষে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে হবে। নির্দেশ আদালতের। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার আগামী বুধবারের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবেন। পরবর্তী শুনানি ২৬ জুন।
গ্রেফতারির সময় দেহে কোনও আঘাত ছিল না। ৪ জুন থেকে ৫ জুন থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করে আদালতে পেশ করা হোক। আপাতত সুপার পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের পর্যবেক্ষণে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক। আপাতত অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্ত হস্তান্তরের আবেদন জানাচ্ছি না। এসএসকেএম হাসপাতালে বিশেষ দল গঠন করে ময়নাতদন্ত হোক এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হোক। সওয়াল নিহত সঞ্জয় বেরার আইনজীবীর।
আরও পড়ুন: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল
আদালত থেকে জেলে ফেরার বিকাল ৪:৫০ নাগাদ প্রথম গেট পার করার পর সঞ্জয় বেরা পরে যান এবং তাকে মেদিনীপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। দাবি রাজ্যের। সঞ্জয় বেরাকে কখনওই পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়নি। তাকে সবসময় জেল হেফাজতে রাখা হয়েছিল। দাবি রাজ্যের।এসএসকেএম হাসপাতালের রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে যে তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন এবং তার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল। দাবি রাজ্যের। অ্যারেস্ট মেমো তার শ্যালককে দেওয়া হয়েছিল। দাবি রাজ্যের। যখন আপনারা কাউকে গ্রেফতার করেন তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। সেখানে কিছু দেখা ? প্রশ্ন বিচারপতির। আমরা সব সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছি। জানাল রাজ্য।
সিবিআই তদন্ত (CBI Investigation) এবং কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের (Post Mortem) আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ডেবরার নিহত বিজেপি কর্মী সঞ্জয় বেরার পরিবার। বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি সিনহা।
মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে মারা যান সঞ্জয়। গত ৪ জুন বিজেপি তৃণমূলের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার হন সঞ্জয়।পরিবারের দাবি, গ্রেফতারের সময় দেহে কোনও আঘাত ছিল না, কিন্তু পরের দিন আদালতে পেশ করার সময় মাথায় ব্যান্ডেজ দেখা যায়।
আরও খবর দেখুন