কলকাতা: আরজি কর কান্ডে শনিবার শিয়ালদহ আদালতের তরফ থেকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় সঞ্জয় রায়কে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় ৬৪ ( ধর্ষণ ), ৬৬ ( ধর্ষণের পর খুন ) এবং ১০৩(১) ( খুন) এই তিন ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আর তারপর আজ অর্থাৎ সোমবার দুপুর ২:৪৫ এ ঘোষণা করা হয় সাজা। আজীবন কারাবাস দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু আদালতের এই রায়তে কেউই খুশি নন।
আজ সিবিআইয়ের তরফ থেকেও আদালতে সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি করা হয়। এই ঘটনাকে বিরলের চেয়ে বিরলতম বলেও উল্লেখ করা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে। পাশাপাশি, চিকিৎসক থেকে শুরু করে নির্যাতিতার পরিবার এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি করেন। কিন্তু আদালত এই ঘটনাকে বিরলতম ঘটনা নয় বলে উল্লেখ করেন, এবং ধৃত সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপিতে শুভেন্দু-সুকান্ত বিরোধ কি চরমে?
আর এবার মুখ্যমন্ত্রী সুরে সুর মিলিয়ে বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেন এই ঘটনায় ফাসিঁই ছিল সর্বোচ্চ সাজা। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘ আরজি কর কাণ্ডে আদালতের রায়ে খুশি নই আমি। শুধু আমি নই। সমাজ, পরিবার, সকল মানুষ কেউই এই রায়ে একেবারেই খুশি নন ‘।
উল্লেখ্য, ২০২৪ এর ৯ অগাস্ট আরজি করে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। কর্মরত অবস্থায় এক জুনিয়র চিকিৎসককে ওঠে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। আর তারপর থেকেই উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। দিকে দিকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। চিকিৎসকদের প্রতিবাদের ডাকে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে রাত জাগেন সকলেই। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, বঙ্গ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায় প্রতিবাদের আঁচ। প্রথমে এই ঘটনার তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। তারপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে সঞ্জয় রায়কে। পরে অবশ্য গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ অভিজিৎ মন্ডলকে। কিন্তু সিবিআই ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও সঠিক চার্জশিট তাদের বিরুদ্ধে জমা দিতে না পারায় এই কেস থেকে অব্যাহতি পান তারা।
দেখুন অন্য খবর