কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) দোষী সাব্যস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের (Sanjay Roy) শাস্তি ঘোষণা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়ার নির্দেশ দেন শিয়ালদহ আদালতের (Sealdah Court) ফার্স্ট জাজ অনির্বাণ দাস। যদিও সিবিআই (CBI) সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি করেছিল, কিন্তু আদালত সেই দাবি খারিজ করে। এই রায়কে কেন্দ্র করে পুনরায় আলোচনায় উঠে এসেছে ২০০৪ সালে হেতাল পারেখ হত্যাকাণ্ডে (Hetal Parekh Case) ফাঁসি হওয়া ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের (Dhananjay Chatterjee) মামলা।
২০০৪ সালে হেতাল পারেখকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে ফাঁসি দেওয়া হয় ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে। তবে সেই সময় থেকে আজও অনেকেই মনে করেন, ধনঞ্জয় আসলে এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। তাঁর বন্ধু ও পরিবারের দাবি ছিল, সঠিকভাবে বিচার না করেই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাই এখন সঞ্জয় রায়ের মামলার রায় ঘোষণার পর ধনঞ্জয়ের বন্ধুদের মধ্যে একপ্রকার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার হাইকোর্ট! আগামী পদক্ষেপ জানিয়ে দিলেন সঞ্জয়ের আইনজীবী
ধনঞ্জয়ের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেন, “সঞ্জয়ের ক্ষেত্রে আমৃত্যু কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এটা একটা সঠিক পদক্ষেপ। আরজি করের ঘটনা সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু সঞ্জয়ের দোষ প্রমাণ হলেও তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়নি। তবে এই ঘটনায় সঞ্জয় একমাত্র দোষী নয়। এই কাণ্ডে জড়িত অন্যদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত।”ধনঞ্জয়ের আরেক বন্ধু বলেন, “সিবিআইয়ের তদন্তে আমরা খুশি নই। সঞ্জয়কে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া উচিত।”
ধনঞ্জয় কাণ্ডের সময় প্রমাণের অভাব সত্ত্বেও তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে এসেছেন তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠমহল। কিন্তু আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই-এর তদন্তে আদালত সঞ্জয়ের অপরাধ প্রমাণ করলেও ফাঁসির বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেয়। সঞ্জয়ের সাজাকে ঘিরে ধনঞ্জয়ের বন্ধুদের মত, “২০০৪ সালে ধনঞ্জয়ের ফাঁসির ঘটনা ছিল ন্যায়বিচারের নামে এক চরম ভুল। সঞ্জয়ের ক্ষেত্রে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া হয়েছে।”
দেখুন আরও খবর: