ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে (Interim Government) বসেছেন মুহাম্মদ ইউনুস (Muhammad Yunus)। তার পর থেকেই তাঁর বক্তব্য নানা ধরনের বিতর্কের জন্ম দিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে জাপানি এক সংবাদমাধ্যমকে ইউনুস এমন একটি বক্তব্য দিলেন যা রীতিমতো চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাপানি খবরের কাগজ নিক্কে এশিয়াকে এক সাক্ষাৎকারে ইউনুস জানিয়েছেন, নির্বাচন না করেই দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকতে চান তিনি। অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, আমলাতান্ত্রিক ও বিচার বিভাগ, সর্বত্র ব্যাপক সংস্কার করতে চান। এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে নানা কমিটি গড়া হয়েছে। সব কমিটির রিপোর্ট হাতে পেলে তিনি সেই ভিত্তিতে কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: কত নম্বরে ব্যাট করবেন, এখনই জেনে গিয়েছেন রাহুল!
ইউনুসের বক্তব্য, এই সমস্ত কিছু সংস্কার করতে তাঁর অনেক সময় লাগবে, তাই তিনি চান তাঁর নেতৃত্বেই প্রশাসন চলুক। ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে আমরা একদম শূন্য থেকে শুরু করেছি।
ইউনুস-এর এই ধরনের কথার ফলে সে দেশে দ্রুত নির্বাচনের সম্ভাবনা বিলীন হয়ে যাবে? নির্বাচন ঠিক কখন হবে সে বিষয়ে কোনও মন্তব্যে না গিয়ে ইউনুসের সরাসরি জবাব, ‘নির্বাচনের সময় নির্ভর করছে সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর। এর ফলাফলই সময় নির্ধারণ করে দেবে।’
সাধারণ নির্বাচনে ড. ইউনুস প্রার্থী হবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘না, আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি সবসময়ই রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছি। যে ব্যক্তি সমস্ত নিয়ম কানুন মেনে চলেন, নিজেকে দুর্নীতি মুক্ত রাখেন তাঁরই নির্বাচনে দাঁড়ানো উচিত।
হাসিনার সমালোচনা করে ইউনুসের বক্তব্য, দীর্ঘ ১৫ ধরে রাজত্ব চালিয়ে দেশের পুরো শাসনকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে করে দিয়েছে। আর গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করে তা পুনর্গঠনের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ আমাদের ঘাড়ে এসে পড়েছে। টানা তিন মেয়াদে ভোটারবিহীন ভুয়ো নির্বাচন করে গেছেন হাসিনা। আর তাতে তিনি নিজেকে এবং তার দলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। একজন ফ্যাসিবাদী শাসক হিসেবে এসব করেছেন হাসিনা।’
ইউনুস বলেন, এ বছরের আগস্টে ছাত্রনেতৃত্বাধীন সরকারি চাকরিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কয়েক শো শিক্ষার্থী প্রাণ খুইয়েছে। এরপরই শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন হাসিনার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। তিনি দেশ ছাড়েন। অক্টোবরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা এবং তার বেশ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এই বিচার প্রক্রিয়া শেষে রায় হলে হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ভারতকে জানানো হবে। চূড়ান্ত রায় এলে আমরা ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসিনাকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাব।
দেখুন অন্য খবর: