ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরের (Kashmir) বৈসারণের ঘটনায় ক্রোধের আগুনে জ্বলছে গোটা দেশ। বিহারে (Bihar) মধুবনী (Madubani) পঞ্চায়েতি রাজ মঞ্চ (Panchayati Raj Mancha) থেকেই গর্জে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Pm Narendra Modi)। এতগুলো নিরীহ মানুষের হত্যার ঘটনা যে বৃথা যাবে না, তা বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, জঙ্গিদের নৃশংস অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই। জঙ্গিদের খুঁজে খুঁজে বের করে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। সন্ত্রাসবাদীদের কোমর ভেঙে দেওয়া হবে।
যারা এইভাবে নিরাপরাধ মানুষগুলোকে মেরেছে, তাদের ছেড়ে কথা বলবে না ভারত। যারা এই কাজ করেছে, তারা ভাবতেও পারবে না, তাদের কী শাস্তি দেওয়া হবে। শত্রুরা দেশের আত্মায় হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখিয়েছে। যোগ্য সাজা পাবে তারা। খুঁজে খুঁজে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। আতঙ্কবাদ বরদাস্ত করবে না ভারত সরকার।
আরও পড়ুন: ‘আতঙ্কবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার সময় এসে গেছে’ বললেন মোদি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৪০ কোটি ভারতবাসীর মনোবল ভেঙে দেওয়া অত সহজ কাজ নয়। পহেলগাঁওয়ে নিরাপরাধ পর্যটকের উপর নৃশংস, নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডে স্তম্ভিত গোটা দেশ। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, ভারত সরকার তাদের পাশে আছে, যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটে। বৈসারণ রক্তে ভেসে যায়। চারদিকে শুধুই আর্তনাদ। ২৬ জনকে পর পর গুলি করে খুন। বেছে বেছে পুরুষদের৷ গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ৷ জঙ্গিদের মধ্যে অনেকেই পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে এপারে এসে এই হত্যালীলা চালিয়েছে বলে জানাচ্ছেন নিরাপত্তাকর্মীরা৷
জঙ্গি হামলার পরেই একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পাক সরকার। স্থগিত করা হয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি৷ সার্ক দেশের ভিসাও বাতিল৷
মোদি বলেন যেভাবে, এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে, তাতে পুরো দেশ আজ শোকাহত। যাদের চিকিৎসা চলছে, তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি যাতে সুস্থ হয়ে যান, তার চেষ্টা সরকার করছে। এই সন্ত্রাসবাদী হামলায় কেউ ছেলে, কেউ ভাই, কেউ জীবনসঙ্গীকে হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ বাংলা ভাষায় কথা বলতেন, কেউ কানাড়া, বা কেউ মহারাষ্ট্রিয়ান ভাষায়। কিন্তু এই ঘটনা আজ কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী দুঃখ ও আক্রোশে সবাই সকলের সঙ্গে একজোট হয়ে আছে।
দেখুন আরও খবর: