আসানসোলঃ শিল্পাঞ্চল জুড়ে অবৈধ বালির ব্যবসার অভিযোগ বহু যুগ ধরে। বিশেষত অজয় নদের তীর থেকে বালি পাচারের অভিযোগ। জামুড়িয়া থানার চুরুলিয়া ফাঁড়ির অন্তর্গত অজয় নদীর ধারে দেশের মহান, তালডাঙরা, চিচুরবিল এলাকায় রমরমিয়ে চলে অবৈধ বালি ব্যবসা। এই বিষয় নিয়ে অতিষ্ঠ এলাকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, অবৈধ বালি পাচারের জেরে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। শুধুমাত্র তাই নয়, এলাকার বহু রাস্তা খারাপ হচ্ছে বলেও তোলা হয় অভিযোগ। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয় ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরে। কিন্তু অভিযোগ দায়ের করেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা এবং বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সমস্থ সমস্যার কথাই জানে, কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বরা কোন ভাবেই বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে নারাজ। নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করেন তৃণমূলের নেতৃত্বরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বড় বড় ওভার লোড বালির গাড়ির চাপে ভেঙ্গে পড়ছে রাস্তা। যা পরবর্তী ক্ষেত্রে আর নির্মাণ করা হচ্ছেনা। বছর বছর ভাঙা রাস্তায় বীরভূম থেকে আসানসোল বা ঝাড়খন্ড থেকে বাংলায় আসা যাওয়া করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শুধুমাত্র তাই নয়, বালি তুলে নেওয়ার কারণে বিভিন্ন এলাকায় দেখা মিলছে জলসঙ্কটও।
দেখুন অন্য খবরঃ পার্থ টেস্টে প্রভাব ফেলবে বৃষ্টি! টসে জিতলে ব্যাট না বল?
যদিও এই বিষয়ে আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, “বালি তোলার কারণে যদি জলসঙ্কট দেখা দিত তাহলে বন্যা হত না। নদী তো অগ্নিমিত্রা পালের বিধানসভাতেও আছে। তাই তিনি কি বললেন সে নিয়ে মন্ত্বব করা উচিত নয়। তিনি তার মতো বলছেন। ডিভিসি এর মর্জি মত জল ছাড়া বা না ছাড়ার কারণে জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে”। ঠারে ঠোরে তিনি বিজেপি নেত্রীকে এই বিষয়ে অভিযোগের তীর ছুড়ে দিয়েছেন।
তৃণমূলের অপর এক নেতা গুরুদাস চ্যাটার্জি বলেন, “অগ্নিমিত্রা পাল অনেক খোঁজ খবরই রাখেন না। আসানসোলের দামোদর নদীর এলাকায় বালির ব্যবসাই এই মুহূর্তে হয় না। আর অজয় নদীর বালির বিষয় অন্য নেতৃত্ব বলতে পারবেন। কোথাও অন্যায় হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল অন্য এক ছবি। বড় বড় মেশিন দিয়ে বালি তোলা হচ্ছে দিনের বেলায়। সেটা নাকি বৈধ। আবার নদীর আর এক দিকে নৌকা বা ডিঙি লাগানো আছে। সেখানে শুধু সন্ধ্যের পর থেকে ট্রাক লোড হয়। সেটা নাকি অবৈধ। যদিও বিজেপি এর পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে সম্পুর্ন ব্যবসা তাই অবৈধ বলে দাবি করা হয়েছে। মেশিন দিয়ে তোলা বালি ট্রাকে করে দূরে দূরে সাপ্লাই হয় আর রাতের অন্ধকারে ট্রাক লোড করা বালি স্থানীয় জায়গা তেই সাপ্লাই হয়” জানান তিনি।
দেখুন অন্য খবর