তেল আভিভ: ইজরায়েলি সেনাদের ধারণা তারাই। আমেরিকার সরাসরি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত। তবে এই মুহূর্তে আইডিএফ ক্লান্ত-বিধ্বস্ত-অবসন্ন। যেতে চান না যুদ্ধের ময়দানে। গত একবছরের বেশি সময় ধরে অনবরত গাজা অভিযানের ফলে ইজরায়লি বাহিনীর সংরক্ষিত সেনারা ক্লান্তি ও অবসাদে ভুগছেন। ইতিমধ্যেই লেবাননের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হওয়া দেখে যুদ্ধের ময়দানে মনোবল হারাচ্ছেন অনেকে। যুদ্ধের ঘনঘটা ও তীব্রতা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে ব্যাহত করছে।
আরও পড়ুন: ড্রোন হামলার ঝুঁকিতে ছেলের বিয়ে বাতিল নেতানিয়াহুর
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়লে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইজরায়লি সেনারা। যা এখনও পুরো মাত্রায় জারি। দেশটির ১৮ শতাংশই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত। বয়স ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ যুদ্ধের কারণে সকলে দারুণ ভাবে ক্লান্ত। ইজরায়েলি নাগরিকদের নারীপুরুষ নির্বিশেষে সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক। তাই সেনাবাহিনীতে কখনও সেনা সদস্যের অভাব হয় না। এই মুহূর্তে তারাই বলছেন যুদ্ধ শেষ হওয়া উচিত।
গাজায় অভিযান শুরু করার পর থেকে ৩৬৭ সেনাকে হারিয়েছে ইজরায়েল। এছাড়া, লেবাননে অভিযান শুরুর পর থেকে নিহত হয়েছেন ৩৭ ইজরায়লি সেনা। নিজেদের ক্লান্তির কথা জানিয়ে এই মুহূর্তে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করছেন ইজরায়েলি সেনাদের একাংশ। পোস্টগুলি রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারা হতাশএবং মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। গাজা একের পর এক হামলা ও হত্যাযজ্ঞ দেখে তাদের মনে বিষাদের সুর। পাশাপাশি সহকর্মীদের মৃত্যুতেও তারা ভীষণভাবে হতাশ ও ক্ষুব্ধ ইজরায়েলি সেনারা।
দেখুন আরও খবর: