বিহার: ভোটকুশলী হিসেবে ভারতজোড়া নাম রয়েছে তাঁর। আগে বহু স্বনামধন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ভোটে জিতিয়ে এসেছেন। তবে সেসব এখন অতীত। চলতি বছর অক্টোবর মাসে প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে নিজের দল ‘জন সুরাজ’ তৈরি করেন। পিকে’র দল এবার বিহারের উপনির্বাচনে ৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। বিহারের ইমামগঞ্জ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন জিতেন্দ্র পাসোয়ান, বেলাগঞ্জ থেকে মহম্মদ আমজাদ’কে প্রার্থী ঘোষণা করে পিকে’র দল, রামগড়ে প্রার্থী হন সুশীলকুমার সিংহ এবং তারারিতে কিরণ সিংহ হন জন সুরাজের প্রার্থী। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেউই ডেবিউ করতে পারলেন না। সকলেই নিজের কেন্দ্রে বিপুল ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন। এমনকি, ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে অনেকে লড়াইয়ে উঠে আসতে পারেননি।
আরও পড়ুন: দল-বদল করেও ভোটে হেরে গেলেন বাবা সিদ্দিকি’র পুত্র জিশান
শনিবার উপনির্বাচনের ফলাফল জন সুরাজ-এর পক্ষে যায়নি। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বেলাগঞ্জ কেন্দ্রের জন সুরাজ প্রার্থী মহম্মদ আজাদ পেয়েছেন ১৭,২৮৫টি ভোট, যেখানে এই কেন্দ্রের জয়ী জেডিইউ প্রার্থী মনোরমা দেবী পেয়েছেন ৭৩,৩৩৪ ভোট। এদিকে ইমামগঞ্জ কেন্দ্রে জন সুরাজ প্রার্থী জিতেন্দ্র পাসোয়ান ৩৭,১০৩টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন, যেখানে জয়ী প্রার্থী দীপা মানঝি ৫৩,৪৩৫ ভোট পেয়েছেন। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতনরাম মানঝির পুত্রবধূ। এদিকে রামগড় কেন্দ্রের জন সুরাজ প্রার্থী সুশীলকুমার সিংহ ৬,৫১৩ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন, যেখানে বিজেপির অশোক কুমার সিংহ ৬২,২৫৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তারারি আসনের জন সুরাজ প্রার্থী কিরণ সিংহ পেয়েছেন ৫,৫৯২ ভোট, যেখানে জয়ী বিজেপি প্রার্থী বিশাল প্রশান্ত পেয়েছেন ৭৮,৫৬৪টি ভোট। তবে ডেবিউ না করতে পারলেও এই উপনির্বাচনে পিকে’র দল যেভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে, তাতে করে আসন্ন নির্বাচনে জন সুরাজ যে ভালো ফলাফল করতে পারে, তার একটা সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
দেখুন আরও খবর:
