কলকাতা: জমি দুর্নীতির অভিযোগে বিপাকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া (Karnataka Chief Minister Siddaramaiah)। মাইসুর আর্বান ডেভেলপমেন্ট অথারিটির অধীনে জমি বরাদ্দ নিয়ে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শনিবার রাজ্যপাল থাওয়ারচন্দ গেহলট (Governor Thawar Chand Gehlot) এই তদন্তে সম্মতি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, প্রদীপ কুমার, টিজে আব্রাহাম, স্নেহময়ী কৃষ্ণা নামে তিন সমাজকর্মী মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারাইয়ার বিরুদ্ধে এই জমি দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আনেন। অভিযোগ মাইসুর নগরোন্নয়ন বিভাগের জমি বেআইনি ভাবে বিলি করা হয়েছে। সেই দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন জেলাশাসক, সহ ভূমি দফতরের একাধিক আধিকারিকও। এই অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে কর্নাটকের রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং রাজস্ব বিভাগের সচিবকে চিঠি লিখেছিলেন ওই সমাজকর্মীরা। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সেক্রোটারিয়েটের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৮৮-র ১৭ ধারা এবং ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ২১৮ ধারার অধীনে রাজ্যপাল সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।রাজ্যপাল গত মাসেই সিদ্দারামাইয়াকে নোটিস পাঠিয়ে সাত দিনের মধ্যে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব তলব করেন। কিন্তু জবাব দেওয়ার বদলে রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যপালকে তদন্তে অনুমতি না দেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রস্তাব আনা হয়। ২০২১ সালে মুডা উন্নয়নের জন্য মাইসুরু বা মহীশূরের কেসার গ্রামে সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতীর কাছ থেকে তিন একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী, ছেলের বিরুদ্ধে মুডা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ড: নির্যাতিতার বিশেষ বন্ধুকে তলব সিবিআইয়ের
রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন সিদ্দারামাইয়া। তিনি দাবি করেন, রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত সংবিধান-বিরোধী। অন্যদিকে, রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে পদ্ম শিবির। কংগ্রেসের দুর্নীতি ও মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয় মত, বিজেপির। তবে কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী , প্রাক্তন মন্ত্রী শশীকলা জোলে ও মুরুগেশ নিরানির বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর ক্ষেত্রে অনুমোদন দিতে দেরি করেছিলেন রাজ্যপাল। আর এক্ষেত্রে ভিত্তিহীন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তদন্তে দ্রুত অনুমোদন দিলেন তিনি।সিদ্দারামাইয়াকে নিয়ে রাজ্যপালের পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জমি কেলেঙ্কারি মামলায় প্রথম থেকেই মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে পদ্ম শিবির। কংগ্রেসের সরকারের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলতি মাসের শুরুতে বেঙ্গালুরু থেকে মাইসুর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী পদযাত্রাও করেছে বিজেপি।
অন্য খবর দেখুন