কলকাতা: পুলিশের জালে কসবা কাণ্ডের (Kasba Councilor Case ) ‘মাস্টারমাইন্ড’ ইকবাল। ঘটনার ২৪ ঘটনার মধ্যেই বড় সাফল্য পেল পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে আটক করা হয়েছে ইকবালকে। তার আসবৃল নাম আফরোজ খান। নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। ধৃতকে জেরা করে ঘটনার শিকড়ে পৌঁচ্ছাতে চাইছে তদন্তকারীরা। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। অন্যদিকে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। ফিরহাদ বলেন, এনাফ ইস এনাফ, উত্তর প্রদেশ-বিহারের কালচার এখনে চলবে না। বাংলা ক্রিমিনালদের জায়গায় নয়। ইন্টিলিজেন্স কোথায় পুলিশ কোথায়। পুলিশকে খোঁজে বার করতেই হবে।
শুক্রবার সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে পর পর দু’বার গুলি চালানোর চেষ্টা হয়। এক সিসিটিভি ফুটেজে গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে। কিন্তু দু’বারই ব্যর্থ হয় শুটার। অল্পের জেরে প্রাণে বেঁচে যান সুশান্ত ঘোষ (Sushanta Ghosh)। শুক্রবার রাতেই যুবরাজ সিংহ নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করেই দুষ্কৃতীদের পরিকল্পনার ছক স্পষ্ট হয়। ধৃত জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, কাউন্সিলরকে ‘ভয় দেখানোর’ জন্য তাঁকে সুপারি দিয়েছিলেন জনৈক মহম্মদ ইকবাল। তিনিই বন্দুকের বন্দোবস্ত করেছিলেন। যুবরাজকে নাইন এমএম পিস্তলটি দিয়েছিলেন। তবে সুশান্তকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর সময় সেই পিস্তল কাজ করেনি।
আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডে পুলিশকে তোপ ‘এনাফ ইজ এনাফ’
জানা গিয়েছে, সুশান্তকে মারতে অগ্রিম ২.৫ হাজার টাকা পেয়েছিল শুটার। বৃহস্পতিবারের বিহার থেকে ৩ সুপারি কিলার বাংলায় আসে। তাদের মধ্যে একজমের নাম যুবরাজ, আরেকজনের নাম ইকবাল। তারা এই খুনের ছক আগেই করেছিল। তাদের জন্য হাওড়া স্টেশনের বাইরে অপেক্ষায় ছিল ট্যাক্সিচালক আহমেদ। সেই ট্যাক্সিতে তাদের নিয়ে যায় বন্দর এলাকার। সেই গোপন ডেরায় পুরো ছক সাজায় তারা। পরিকল্পনামাফিক শনিবার সন্ধেয় হামলা চালানো হয়। এবার জালে মূলচক্রী, আফরোজ খান।
দেখুন ভিডিও