কলকাতা: দক্ষিণ কলকাতার ল’কলেজের মধ্যে ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Kasba Law College Student Molested) অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মী তথা কলেজেরই অস্থায়ী কর্মী মনোজিৎ মিশ্র-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শুক্রবার সকালে সমাজমাধ্যমে কুণাল লিখেছিলেন, ‘‘এ সব জানোয়ারকে মেরে পিঠের চামড়া গুটিয়ে দেওয়া উচিত।’’ কসবা-কাণ্ডে পাল্টা সিপিএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়,’সিপিএম বিজেপির নৈতিক অধিকার নেই এই নিয়ে কথা বলার’। সুশান্ত ঘোষের প্রসঙ্গও তোলেন কুণাল। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, কার্তিক মহারাজকে গ্রেফতার করা হোক।
দক্ষিণ কলকাতার ল’কলেজের মধ্যে ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Kasba Law College Student Molested) অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতা তরুণীর কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মী তথা কলেজেরই অস্থায়ী কর্মী মনোজিৎ মিশ্র-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় কলেজের ইউনিয়ন রুমের পাশের একটি বাথরুমে প্রথমে আক্রান্ত হন তিনি। পরে তাঁকে জোর করে পাশের একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ছিল মনোজিত। বাকি দুই অভিযুক্তের নাম জায়েব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়। নির্যাতিতা তরুণীর আরও অভিযোগ, সেখানে তার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। গণধর্ষণের ঘটনায় প্রকাশ্যে আসতেই এদিন কলেজ এবং কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাঁদের অভিযোগ, বাংলায় নারী নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা নেই। পুলিশের প্রশংসা করে তৃণমূলের দাবি, ১২ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন নিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাংলায় ধর্ষককে মালা পরিয়ে মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয় না, মন্তব্য শশী পাঁজার
নির্যাতিতার পাশে থাকার আশ্বাস তৃণমূল নেতৃত্বর। এখনও কেন অপরাজিতা বিলে সই করলেন না রাষ্ট্রপতি, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তুললেন শশী পাঁজা (Shashi Panja)। কুণাল ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, কসবার আইন কলেজের ঘটনা ব্যতিক্রমী নয়। বহু যুগ ধরেই ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের দায় নির্দ্বিধায় জানোয়ার-জগতের উপর চাপিয়ে দেওয়া ভারতীয় সংস্কৃতিতে মজ্জাগত। ‘পাশবিক’ বা ‘জান্তব’ তকমায় দেগে দেওয়া। অথচ প্রাণীবিদদের মত এ ক্ষেত্রে স্পষ্টতই ভিন্ন। যে জানোয়ারগুলো এগুলো করেছে, মেরে পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া উচিত। যত অপরাধ রয়েছে, সব থেকে কুৎসিত অপরাধ জোরপূর্বক যৌন অত্যাচার। নাম-পদবী-জাতি বড় কথা নয়। শাস্তি হওয়া উচিত, এটাই বড় কথা।
দেখুন ভিডিও